ফ্রিল্যান্সিং অর্থ কি?

ফ্রিল্যান্সিং হলো কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সাহায্যে ঘরে বসে টাকার বিনিময়ে অন্যের কাজ করে দিয়ে টাকা ইনকাম করা। এক্ষেত্রে কোনো একটি বা একাধিক বিষয়ের উপর কাজের দক্ষতা অবশ্যই থাকতে হবে। পাশাপাশি কম্পিউটার ও ইন্টানেটের যাবতীয় খুটিনাটি বিষয় সর্ম্পকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এই পেশাকে মুক্ত পেশা হিসেবে বিবেচনা করলেও অন্যান্য সাধারণ পেশার চেয়ে এর দায়-দায়িত্ব অনেক। সোজা কথায় বলতে গেলে কম্পিউটার, ইন্টারনেট কানেকশান, ইংরেজী ভাষার দক্ষতা, কোন একটি বিষয়ের উপর অভিজ্ঞতা সর্বোপরি সময়ের সঠিক ব্যবহার ও অধ্যাবসায়কে কাজে অনলাইন থেকে আয় করাই হলো ফ্রিল্যান্সিং।


ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব? Freelancing মার্কেটে কাজ কিভাবে পাবো?


ফ্রিল্যান্সার মানে কি? Freelancer কি?

যিনি অনলাইনের কোনো একটি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে নিজের নামে একাউন্ট খুলে বায়ারের কাঙ্খিত যাবতীয় কাজ অনলাইনের মাধ্যমে কম্পিউটার দ্বারা সম্পাদন করে দেয় এবং কাজের বিনিময়ে টাকা ইনকাম করে তাকেই বলে ফ্রিল্যান্সার। আমরা যদি একটি চাকুরির সাথে তুলনা করি তাহলে ফ্রিল্যান্সার হলো একজন চাকুরিজীবি এবং তার অফিস হলো নিজের ঘর। Freelancer ও চাকুরিজীবির মধ্যে পার্থক্য হলো চাকুরিজীবি প্রতিদিন যথাসময়ে অফিসে হাজিরা দিয়ে কাজ করতে হয় কাজের বিনিময়ে মাস শেষে বেতন পান। অন্যথায় একজন ফ্রিল্যান্সারের প্রচলিত চাকুরির নিয়মের মতো কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। অর্থাৎ তার কাজটি দিনে কিংবা রাতে যে কোনো সময় করতে পারলেই তার চাকুরির খাতায় হাজিরা হয়ে যাবে। তবে কাজের জন্য দিন রাতের পার্থক্য না থাকলেও নিদিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে কাজটিকে অবশ্যই সম্পূর্ন করে বায়ারকে বুঝিয়ে দিতে হবে। একজন ফ্রিল্যান্সারের এটাই সবচেয়ে চ্যালেন্জিং কাজ। এসকল কাজ গুলো যে সম্পাদন করেন তাকেই বলে Freelancer.


১৫ টি সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট এর তালিকা

কাজের দক্ষতা থাকলে যে কোনো প্লাটফর্ম থেকেই নিজের ক্যারিয়ার গড়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। এককভাবে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে কোনো একটি মাধ্যম থেকেই কাজ করা ভালো। এজেন্সি হয়ে কাজ করার ইচ্ছা থাকলে একাধিক সাইটে একাউন্ট খুলে কাজ করলেও কোনো সমস্যা নেই। এটা সম্পূর্ন নির্ভর করবে আপনার ক্যাপাসিটির উপর। বর্তমান বিশ্বে ফ্রিল্যান্সারদের জনপ্রিয় ১৫ টি সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট এর তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো।


➽ Fiverr
➽ Upwork
➽ Toptal
➽ 99designs
➽ Flexjobs
➽ SimplyHired
➽ Guru
➽ Freelancer.com
➽ Behance
➽ LinkedIn
➽ Dribbble
➽ People Per Hour
➽ ServiceScape
➽ DesignHill
➽ TaskRabbit


ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস?

ফ্রিল্যান্সিংয়ে স্থায়ীভাবে প্রফেশনাল ক্যারিয়ার গড়তে গুরুত্বপূর্ন কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এর কোনো একটির ঘাতটি হলে জীবনে যতই পরিশ্রম করেন না কেনো এই সেক্টরে সফল হতে পারবেন না। যেসব পদ্ধতি মেনে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলে খুব দ্রুত সফল হতে পারবেন বা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে কি কি কাজ আপনার শিখা দরকার সেগুলো সর্ম্পকে জানতে হবে। এই সেক্টরে দিন দিন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে প্রতিযোগীতার সংখ্যাও বাড়ছে আনুপাতিক হারে। কেউ যদি মনে কোনো দক্ষতা ছাড়া লক্ষ লক্ষ টাকা রাতারাতি ইনকাম করবেন, সে হয়তো বুঝেই না ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসটা আসলেই কি? এই সেক্টরটা যেমন বিশাল আবার প্রতিযোগীর সংখ্যাও বহুগুনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজেই আপনাকে কোন একটি কাজের উপর অভিজ্ঞ হয়ে তারপর আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরুর কথা ভাবতে পারেন।

প্রথমেই আপনাকে কমপক্ষে যে কোনো ক্যাটাগরি থেকে ৭টি কাজ শিখে অভিজ্ঞ হতে হবে। ফাইবার থেকে রিকোমেন্ড করা হয় কমপক্ষে সাতটি গিগ দেওয়ার জন্য। অনলাইনে হাজারো কাজ রয়েছে যেগুগলো শিখে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিয়ে নিচের মোট ৯ টি ক্যাটাগরির মধ্যে হাজারো সাব-ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ফাইবারের অনেক গুলো কাজের মধ্যে জনপ্রিয় কয়েকটি কাজ নিচে তুলে ধরা হলো। আপনি যে কোনো একটির উপর কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন।


Graphics & Design

✅ Digital Marketing

✅ Writing & Translation

✅ Video & Animation

✅ Music & Audio

✅ Programming & Tech

✅ Business

✅ Lifestyle

✅ Data


ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

আমি প্রথমেই বলেছি ফ্রিল্যান্সিংয়ে হাজারো ধরনের কাজ রয়েছে, আপনাকে শুধু কাজ গুলি শিখতে হবে। একটু দৈর্য্য ধরুন আপনাকে এখনই দেখাবো কত ধরনের কাজ আপনি ফ্রিল্যান্সার হয়ে করতে পারবেন। এখানে কাজের মধ্যে থেকে আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে Graphics & Design ক্যাটাগরির মধ্যে যেসকল সাব ক্যাটাগরি রয়েছে সেগুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হলো। এখানে কাজের সংখ্যা আমি উল্লেখ করলাম না, আপনিই একবার পড়ে দেখুন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ, অনেক কাজের বর্তমানে জনপ্রিয় একটি কাজ হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। এর মধ্যে রয়েছে শত শত কাজের সাবক্যাটাগরি।


✅ Graphics & Design (মূল ক্যাটাগরি)

🖋 Logo & Brand Identity (সাবক্যাটাগরি)

👉 Logo Design

👉 Brand Style Guides

👉 Business Cards & Stationery

👉 Gaming

🖋 Game Art (সাবক্যাটাগরি)

👉 Graphics for Streamers

👉 Twitch Store

👉 Art & Illustration

🖋 Illustration (সাবক্যাটাগরি)

👉 Pattern Design

👉 Portraits & Caricatures

👉 Cartoons & Comics

👉 Tattoo Design

👉 Storyboards

👉 Web & App Design

🖋 Website Design (সাবক্যাটাগরি)

👉 App Design

👉 UX Design

👉 Landing Page Design

👉 Email Design

👉 Icon Design

👉 Web Banners

👉 Social Media

🖋 Social Media Design (সাবক্যাটাগরি)

👉 AR Filters & Lenses

👉 Packaging & Labels

🖋 Packaging Design (সাবক্যাটাগরি)

👉 Book Design

👉 Album Cover Design

👉 Podcast Cover Art

👉 Car Wraps

👉 Visual Design

🖋 Photoshop Editing (সাবক্যাটাগরি)

👉 Presentation Design

👉 Infographic Design

👉 Vector Tracing

👉 Resume Design

👉 Architecture & Building Design

👉 Architecture & Interior Design

👉 Landscape Design

👉 Building Information Modeling

👉 Fashion & Merchandise

🖋 Fashion DesignNEW (সাবক্যাটাগরি)

👉 T-Shirts & Merchandise

👉 Jewelry Design

👉 Print Design

🖋 Flyer Design (সাবক্যাটাগরি)

👉 Brochure Design

👉 Signage Design

👉 Poster Design

👉 Catalog Design

👉 Menu Design

👉 Postcard Design

👉 Invitation Design

👉 Product & Characters Design

🖋 Industrial & Product Design (সাবক্যাটাগরি)

👉 Character Modeling

👉 Trade Booth Design

👉 Miscellaneous


উপরে শুধুমাত্র একটি ক্যাটাগরির মধ্যে এতগুলো সাবক্যাটাগরি রয়েছে। আপনি চাইলে যে কোনো একটি সাবক্যাটাগরির সব গুলো কাজ শিখতে পারেন। অথবা প্রত্যেক সাব ক্যাটাগরি থেকেও আপনার পছন্দমতো কাজগুলো শিখতে পারেন। বিশ্বের সবচেয়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট ফাইভারে প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করে টাকা ইনকাম করার জন্য মিনিমাম সাতটি কাজ আপনাকে শিখতেই হবে। ফাইবারে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য রিকোমেন্ড করে থাকে সাতটি কাজের উপর গিগ তৈরী করে পাবলিশ করার জন্য।


ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব?

ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কানেকশান

এই সেক্টরে কাজ করার জন্য  তার আগে আপনাকে কিছু গাইডলাইন ফলো করতে হবে। একেবারে গোড়া থেকে বলতে গেলে প্রথমে একটি ডেস্কটপ কম্পিউার বা ল্যাপটপ কিনতে হবে। এবার কম্পিউারটিকে সুন্দর করে আপনার মতো করে সাজিয়ে নিন। কম্পিউটারের সাথে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি আপনার ঘরে বা অফিসের নির্দিষ্ট একটি স্থানে সবসময় কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাহলে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারেন। যদি এই ইন্টারনেটের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে ওয়াই কানেকশান দিয়ে চালাতে পারেন। যদি ওয়াইফাইও না থাকে তাহলে মোবাইলে হটস্পট দিয়ে ইন্টারনেট কানেকশান চালাতে পারেন।


ফ্রিল্যান্সিং কাজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া

কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কানেকশান হয়ে গেলে এবার সিদ্ধান্ত নিন কি বিষয়ের উপর আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান? পূর্বে কোনো কাজের উপর মোটামুটি অভিজ্ঞতা থাকলে সেটির উপরও করতে পারেন। যদি একেবারেই শূন্য থেকে শুরু করতে চান তাহলেও আপনাকে যে কোনো একটি কাজের ক্যাটাগরি বেছে নিতে হবে। আমি ধরে নিলাম আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না কি কাজ শিখবেন, যদি তাই হয় তাহলে মনে মনে চিন্তা করুন আপনার আশে পাশে এমন কেউ আছে কি যারা আপনাকে কাজ শিখতে সহযোগিতা করতে পারবে? কাজ সর্ম্পকিত কোনো সমস্যায় পড়লে সাহায্যে নিতে পারবেন? তাহলে সেই কাজটিই শিখা শুরু করে দিন। যদি এভাবেও সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন তাহলে সোজা চলে আসুন ফাইবারে, এখান থেকে টপ লেভেল সেলার, লেভেল ২ বা লেভেল ১ এর সবগুলো গিগ ওপেন করে দেখুন তারা কিসের উপর কাজ করছে? সেখান থেকে আপনার পছন্দমতো কাজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিন।


ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখা শুরু করা

আমি ধরে নিলাম আপনি ইউটিউব মার্কেটিং, এসইও, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ডাটা এন্ট্রি, প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ শুরু করতে করতে চান। এবার ইউটিউব মার্কেটিং অন্যান্য কাজগুলোর ব্যাপারে গুগলে সার্চ করে আর্টিকেল পড়ুন এবং ইউটিউব ভিডিও দেখে ধারনা নিন। অসংখ্যা আর্টিকেল রয়েছে ইউটিউব মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইনের উপর। ইউটিউবে অনেক চ্যানেল রয়েছে যারা এসব বিষয়ের উপর নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে থাকে। তাদের চ্যানেলটিকে সাবসক্রাইব করে রাখুন নিয়মিত ভিডিও নটিফিকেশন পাওয়ার জন্য। যেসকল চ্যানেলে পর্ব ভিত্তিক ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে সে সকল চ্যানেল গুলোকে বেশি প্রাধান্য দিন।


ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম ঠিক করা

এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ন। সর্বপ্রথম আপনাকে সাইটের সাথে পরিচিত হতে হবে। শত শত ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসােইট রয়েছে এর যে কোনো একটিতে কাজ করতে পারেন। তবে সহজে কাজ পাওয়া, কাজের পর ঝামেলামুক্ত পেমেন্ট বুঝে পাওয়া, যে কোনো সমস্যায় কমিউনিটি হেল্প পাওয়ার জন্য ভালো মানের পরিচিত ফ্রিল্যান্সিং সাইটকেই বেছে নেওয়া উচিত।  যেমন ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার, গুরু ইত্যাদি সাইটগুলো এখন পর্যন্ত সকল ফ্রিল্যান্সারদের কাছে সমান জনপ্রিয়। উল্লেখিত ৪ সাইটেরে মধ্যে থেকে যে কোনো একটিতে আপনি শুরু করতে পারেন। আমি আপনাকে পরামর্শ দিবো ফাইবার কিংবা ফ্রিল্যান্সার.কমে শুরু করার জন্য। এই সাইট গুলো নতুন ও পুরাতন সকল ফ্রিল্যান্সারদের কাছেই সমান জনপ্রিয়।


কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলবেন?

আপনি যদি ফাইবারে ফ্রিল্যান্সিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে সোজা চলে আসুন Fiverr.com এ। আপনার ওয়েব ব্রাউজার থেকে লিখুন fiverr.com এবার নিচের নির্দেশনা গুলো অনুসরণ করুন।


🔯 To create an account:

✅ From Fiverr's homepage, click Join

 Enter your email address and click Continue or

 Choose your username! (Note: You can also join with Facebook, Google Connect, and Apple Connect.)

 Choose your password and click Join.

 You are now registered on Fiverr!

 Within the activation email you receive from Fiverr, click Activate Your Account.


কিভাবে ফাইবার গিগ তৈরি করবেন?

ফাইবার একাউন্ট খুলার পর ফাইবারের ওয়েবসাইটে গিয়ে create a new gig এ ক্লিক করুন তারপর একটা অপশন পাবেন gig title . আপনি যে ক্যাটাগরির সার্ভিস দিতে চান সে অনুসারে লিখবেন যেমন আপনি শিখলেন ভিডিও এডিটিং, মানে আপনি ভালো ভিডিও এডিটিং করতে পারনে। এখন আপনাকে টাইটেলে লিখতে হবে উদাহরণ :"I will do standard for all Video editing. এবং ডেসক্রিশপনে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা সর্ম্পকে লিখুন তারপর পরবর্তী ধাপগুলো বুঝেশুনে অপশন গুলো অনুসরন করুন । আর গিগ তৈরি করার আগে পর্যাপ্ত পরিমান কিওয়ার্ড রিসার্চ করুন এবং ধারনা নিন এবং টাইটেল ও ডেসক্রিপশনে মূল কিওয়ার্ডটি বসানোর চেস্টা করুন । গিগের ক্যাটাগরি, মেটা ট্যাগ, কাজের রেট, ফ্রিকোয়েন্টলি প্রশ্ন, কাজের রিকোয়ারমেন্ট, ছচি ও ভিডিও ফুটেজ সঠিক ভাবে এড করে সর্বশেষ গিগ পাবলিশ করুন ।


🔯 To create an Fiverr Gigs account:

 In your Fiverr homepage, click on Selling and then on Gigs.

 Click on create a new gig.

 Create a Gig title, select category and meta tags.

 Set your gig pricing.

 Write a gig description and FAQ.

 Enter Requirements.

 Add photos or a video to your gig.

 Publish your gig.





ফ্রিল্যান্সিং আয় কিভাবে?

ফাইবার বা ফ্রিল্যান্সারে একাউন্ট খুলে গিগ পাবলিশ করার পর নিয়মিত কাজ করতে পারলে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। গিগ অনলাইন হওয়ার পর আপনাকে অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশান সহ ২৪ ঘন্টা অনলাইনে থাকতে হবে। বায়ার কিছু জানতে চাইলে সাথে সাথে যথাযথ ভাবে বিস্তারিত উত্তর দেওয়ার চেস্টা করবেন। সংক্ষিপ্ত করে কিছু লিখবেন না। তাহলে আপনার একাউন্ট ব্যান করে দিতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং আয় কিভাবে বৃদ্ধি করবেন সেটা সম্পূর্ন নির্ভর করবে আপনার পরিশ্রম, দক্ষতা ও অধ্যবসায়ের উপর।
ফাইবারে হাজার হাজার কাজ রয়েছে, বেশি বেশি কাজ পাওয়ার জন্য সুন্দর ও আকর্ষনীয় বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠাতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ আপনি যদি দৈনিক ৫০ জনকে বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠান তাহলে মিনিমাম ২ থেকে ৩ টি অর্ডার অবশ্যই পাবেন। বায়ারকে কিভাবে লিখলে কাজটি পেতে পারেন সেটি একমাত্র আপনাকেই অনুধাবন করতে হবে।
দৈনিক যদি ২ টি কাজের অর্ডারও আপনি পান তাহলে প্রত্যেকটি কাজ মিনিমাম ৫ ডলার থেকে শুরু করে ১০০ ডলার বা তারও বেশি হতে পারে। সহজ ও ছোট ছোট কাজের ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ সামান্য কম হয়ে থাকে।


যতবেশি ভালো মানের বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠাবেন তত বেশি কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। এছাড়াও ফাইবারে সার্চ করে কারো যদি আপনার গিগ ও কাজের বিবরণ দেখে পছন্দ হয় তাহলে বায়ার কোনো রিকোয়েস্ট ছাড়াই সরাসরি কাজের অর্ডার করে দিবে। আপনি  শুধু কাজটি যথা সময়ে করে জমা দিলেই বায়ার আপনাকে টাকা পরিশোষ করে দিবে। লক্ষ রাখতে হবে কাজে যেনো বায়ার সন্তুষ্ট হয় তাহলেই ৫ স্টার পাবেন। আপনার রেংকও দ্রুত উপরের দিকে উঠবে। বায়ার যদি খারাপ রিভিউ দেয় তাহলে কিন্তু আপনার রেংক নিচে চলে যাবে এবং কেউ কাজের অর্ডার দিতেও সাহস করবে না।



ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, ইউটিউবিং, কম্পিউটার সমস্যা সহ যে কোনো পরামর্শের জন্য অবশ্যই কমেন্ট করতে ভূলবেন না। এখানে আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে লিখার চেস্টা করেছি। লেখায় যদি কোনো প্রকার ভূল পরিলক্ষিত হয় অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভূলবেন না। লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।







লেখক “ মামুন সরকার-ব্লগার ও ইউটিউবার।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন