ইসলামী মূল্যবোধ।

হাজারো প্রশ্ন, হাজারো ক্ষোভ মনের গহীনে। সুখ বিলাসে নিমগ্ন মর্ত ভুলে গেছে বিধাতাকে। পাঠক আপনারা হয়তো ইতিমধ্যেই বুঝে গেছেন কথাটির সারমর্ম। আপনার বয়স কত? বয়স যাইহোক সোজা সাপ্টা একটা প্রশ্ন করি, যখন হাফপেন্ট পরতেন সেই সময় কি তখনকার বর্তমান নিয়ে কিছু ভাবতেন? আপনাকে একটু সাহায্যে করি উত্তর দিয়ে, এই প্রশ্নের উত্তর মানুষ ভেদে ভিন্ন রকম হতে পারে, কি রকম হতে পারে? কেউ বলবে যখন হাফপেন্ট পরতাম তখন শুধু মারবেল খেলা নিয়েই ভাবতাম, কেউ আবার বলবে খড়কুটো দিয়ে ফুটবল বানিয়ে খেলার কথা। এই শুধু দুইজনের উত্তর বললাম, বাকিরা,, তারাও কেউ বলবে শুকনো ধলাধারের কোনো এক চিকচিকে পানির মধ্যে ধানের চারা রোপনের কথা। স্পাইডারম্যানের মতো বৃক্ষের ঢালে উঠে  শালিক পাখির বাসা ভেঙ্গে শাবককে ছিনিয়ে আনা। সেই সব সোনালী অতীতের কথা এখন মনে করলে ভাবনার সাগরে হারিয়ে যাই।

কোন দিকে যাচ্ছে ইসলামী মূল্যবোধ।

দুরন্ত শৈশব কাটিয়ে জিন্সের ফুলপেন্ট পড়ে যখন আধুনিকতার যুগে পদার্পন করেছি এখন কি আর শৈশবের মুরগি চুরির গল্প নিয়ে পড়ে থাকলেই চলবে? একটু ভাবসাব না থাকলে কি হয়? তো এবার প্রশ্ন করি তাহলে এখন কি নিয়ে আছেন? শৈশবের স্মৃতিচারন নিয়ে হালকা একটু বলে, হয়তো বলবেন রাজনীতি করি উমুক দলের সাথে, ব্যবসা বানিজ্যে নিয়ে আছি, সরকারি চাকুরি করি ইত্যাদি ইত্যাদি। 

যে যাই করুক পেটের খোরাকের ধান্ধায় সবাই যার যার নিজস্ব কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে জীবনের চাকা। এই প্রসঙ্গেই কিছু কথা বলতে চাই। সমসাময়িক ঘটনার একটা প্রসঙ্গ নিয়েই সামনে এগোনো যাক, প্রসঙ্গটা হলো ভাস্ক্যয্য। স্বাধীন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। স্বাধীনতা যুুদ্ধে তার অসামান্য অবধানের স্বীকৃত স্বরূপ তাকে অনেক গুলো উপাধিতে ভূষিত করেছেন বাংলাদেশের মানুষ। উপাধিগুলোর মধ্যে অন্যতম ”বঙ্গবন্ধু” “বাংলাদেশের স্থপতি” “জাতির জনক” ”জাতির পিতা” আরো অজানা অনেক উপাধি। এতগুলো সম্মান সূচক উপাধিই কি যথেষ্ট নয়? যদিও দুইটি উপাধি ইসলামের সাথে সাংগর্ষিক। তারপরও দেশের মানুষের বড় কোনো আপত্তি নেই। যারা জাতির পিতা মানবে তাদের যুক্তির ব্যপারে একমাত্র আল্লাহই সমাধান দিতে পারবে। যদিও হাদিস ও কোরআনে  এসবের ব্যাপারে স্পষ্টই সমাধান দিয়েছেন আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল।

আমরা জানি মুর্তি হচ্ছে হিন্দুদের ঐতিহ্য, তাদের দেবতা যেটা মুসলমান ধর্মে সরাসরি নিষিদ্ধ। হিন্দুরা তাদের মুর্তি নিয়ে যাই ইচ্ছা করুক আমাদের মুসলমানদের কোনো আপত্তি নেই। শুধু ইসলাম প্রচারের স্বার্থে তাদেরকে বলতে পারবো তোমাদের মুর্তি পূজা করা উচিত নয়। বাংলা অবিধান ও অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে খোজ নিয়ে দেখেন মুর্তির ইংরেজী প্রতিশব্দ হলো Statue ভাস্কয্যর ইংরেজী হলো  Sculpture উক্ত পরিচিতি দুটি শব্দের যে কোনো একটি ইংরেজী শব্দ লিখে গুগলে সার্চ করে দেখেন ফলাফল ঘুরে ফিরে একই। অর্থাৎ মুর্তি মানে ভাস্কয্য, ভাস্কয্য মানে মুর্তি। শুধু গুগলেই নয় বাংলা অবিধান, ইংরেজী অবিধান যেখানেই খুজেন ফলাফল একটাই লাউ মানে কদু। কদু মানে লাউ। সবকিছু বাদ দিয়ে মুসলমান হিসেবে শুধুমাত্র হাদিস কোরআনের দলিল খুজলেও মুর্তি ও ভাস্কয্যর মধ্যে কোনো প্রকার তফাৎ নেই। এতো কিছু প্রামান্য দলিল থাকা সত্ত্বেও কেনো আলেমরা বলতে হবে , নিজেদের বিবেক দিয়ে সেগুলোর বিচার করলেইতো ঠিক হয়ে হয়ে যায়। তাহলে কেনো আলেমদের কথার বিপক্ষে গিয়ে ভাস্কয্য বানাতেই হবে?

আরো পড়ুন> সমাজটাকে বদলাবে কে?

একজন মৃত মানুষকে যদি আমরা এতোই ভালোবাসি তাহলে তার আত্বার শান্তির জন্য কি করা উচিত? ভাস্কয্য বানিয়ে দোয়া করা নাকি নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা। কোন পদ্ধতিটি মৃত ব্যক্তির জন্য মঙ্গলজনক। অবশ্যই নামাজ পড়ে মৃত ব্যাক্তির জন্য দোয়া করা। একজন মৃত ব্যাক্তির তিনটি আমল মৃত্যুর পরও সওয়াবের রাস্তা খোলা থাকে। হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেছেন : মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে, তখন তার সমস্ত আমলের দরজা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কেবল তিনটি আমল ব্যতীত।  

যথা : ছাদক্কায়ে জারিয়াহ যেমন- মসজিদ, মাদরাসা, ইয়াতিম খানা, রাস্তা ও বাধ নির্মান, অনাবাদী জমিকে আবাদকরণ, সুপেয় পানির ব্যবস্থাকরন, দাতব্য চিকিৎসালয় ও হাসপাতাল স্থাপন, জ্ঞানের বই ক্রয় করে বা ছাপিয়ে বিতরণ, গাছপালা রোপণ।

ইলম, যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় যেমন- যা মানুষকে তাওহীদ ও সহীহ সুন্নাহর পথ দেখায়, শিরক ও বিদআত হতে বিরত রাখে উক্ত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ইসলামী শিক্ষার ব্যবস্থা করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মান করা,

সুসন্তান, যে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করবে। যেমন, মৃত ব্যাক্তির জন্য ক্ষমা পার্থনা করা, ছাদকা দেওয়া, হজ্ব করে দোয়া করা ইত্যাদি। অন্য বর্ণনায় রাসুল (সা:) বলেছেন : মৃত্যুর পর কবরে থাকা অবস্থায় বান্দার সাতটি আমল জারী থাকে যথা:

  1. দ্বীনি ইলম শিক্ষা দান করা
  2. নদীনালা প্রবাহিত করা
  3. কূপ খনন করা
  4. খেজুর তথা ফলবান বৃক্ষরোপন করা
  5. মসজিদ নির্মান করা
  6. কুরআন শিক্ষা দেওয়া ও কুরআন বিতরণ করা
  7. নেক সন্তান রেখে যাওয়া
উপরের যতগুলো বিষয় উল্লেখ করেছি সেখানে কি ভাস্কয্যর ব্যাপারে কোনো কথা আছে যার মাধ্যমে মৃত ব্যাক্তির জন্য ভাস্কয্য বানিয়ে তাকে শ্রদ্ধা করলে তার কবরে কোনো প্রকার সওয়াব পৌছবে? বরং আল্লাহ স্পস্টভাবেই কোরআনে বলেছেন “তোমরা ছবি বা মূর্তির অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকো এবং মিথ্যা কথা , গান-বাজনা, সিনেমা-নাটক-, কাল্পনিক, মনগড়া-বানোয়াটি কাজ থেকে বিরত থাকো।” ( সূরা হজ্জ্ব : আয়াত ৩০) “রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুদ ভক্ষণকারী ও সুদ প্রদানকারী, উল্কি অঙ্কণকারী ও উল্কি গ্রহণকারী এবং প্রতিকৃতি প্রস্তুতকারীর (যাকে বলে ভাস্কয্য চিত্রকর)  উপর লা’নত করেছেন।” (পবিত্র বুখারী শরীফ)।
মূর্তি ও ভাস্কর্যের বেচাকেনাও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ফায়ছালায় সম্পূর্ণ হারাম সাব্যস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ মূর্তি হোক, প্রাণীর ছবি হোক, ভাস্কর্য হোক, আরাধনা করা হোক কিংবা না করা হোক সবই সম্পূর্ণরূপে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ফায়ছালায় নিষিদ্ধ ও হারাম। জায়িয ও হালাল বলা কুফরী ও মুরতাদ হওয়ার কারণ।

কোরআন হাদিস সম্পর্কে আমাদের মতো জ্ঞান পাপীদের জ্ঞানের অভাব থাকলেও আলেম ওলামাদের ব্যাপারে  দৃঢ়ভাবেই আস্থা রাখা যায়। যাদের সঠিক ব্যাখ্যায় মুসলিম জাতি ইসলামের পথ সঠিক ভাবে অনুসরণ করবে। সাম্প্রতিক সময়ে ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের সমস্থ আলেমদের বক্তব্য একই সুতোই গাথা। ভাস্কয্য ও মুর্তির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। ইসলামে সম্পূর্ন হারাম কাজ এটি। অন্যদিকে আরেকটি পক্ষ সেটি বৈধবলে বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে আলেম সমাজ তথা ইসলামের বিরুদ্ধে।
যেখানে স্পষ্ট করে কোরআন হাদিসে দলিল সহ প্রমাণ আছে সেটি নিয়ে শুধুমাত্র দলীয় প্রধানকে খুশি করার জন্য সরাসরি ইসলামের বিরোদ্ধে অবস্থান নিয়েছে একশ্রেণীর লোক। তাদের ফতোয়া শুনলে মনে হয় যে, হাজার বছরের ইসলাম ও ইসলামের সেবকদের কথা ভুল।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের অবদান কি বাংলার মানুষ কখনো অস্বীকার করতে পারবে? সুস্থ বিবেকবান মানুষ আদৌ তার অবদান দৃঢ়চিত্তে স্বীকার করে। কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীনদের বেপরোয়া ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের ফলে মানুষ বাধ্য হচ্ছে শেখ মজিবুর রহমানের বিরোদ্ধে কথা বলার। এসব কর্মকান্ডের ফলে তার কবরের অবস্থা কি হচ্ছে আমরা কি একটু ভেবে দেখেছি!! আল্লাহই ভালো বলতে পারবেন।

আমরা যতই বলি স্বাধীন সার্বোভৌম দেশ সেটা শুধুমাত্র বলার জন্য বলা। প্রকৃত পক্ষে মানুষ কি আদৌ পূর্ন স্বাধীনতা নিয়ে চলতে পারছে? কখনোই না। এখনকার ক্ষমতাসীন দল যা করছে, সময়ের ব্যবধানে ক্ষমতার পরিবর্তনের ফলে এখনকার বিরোধী শক্তিও কম করবেনা। এটাই সত্য ও বাস্তব। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল তাদের স্বার্থ ছাড়া রাজনীতি করে না। এখনকার সময়ে যেমন বিরোধী পক্ষের কেউ চাকুরি পায় না বা পেলেও অনেক সাধনার পর পায়। তদ্রৃপ ক্ষমতার পালাবদলে এখনকার বিরোধী পক্ষও যে তাদের সাধ্য হাসিল করবেনা এটা বলাও মুসকিল।
রাজনৈতিক কৌশল যে যা পারে করুক, অন্তত ধর্মের ব্যাপারে একমত হোক তাও না, এটাকে নিয়েও রাজনীতি করতে হবে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কার পক্ষে যাবো? অবশ্যই যে দল ইসলামের কথা বলবে সেই দলের সমর্থন করবো। কিন্তু না তাও করা যাবেনা সোনার বাংলাদেশে। সকলের ধ্বনি শুধু জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধুই হওয়া চাই। কেনো? দেশটা কি শুধুই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন করেছেন? লাখো শহিদের আত্বা কি আমাদের ধিক্কার দিচ্ছে না?? ক্ষমতার পালাবদলে এসবের বিপরীত মূখী অবস্থান মানুষ যে শক্তভাবেই নিবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের একটা দৈয্যর সীমা আছে। সব কিছু ক্ষমতার জোরে করলেও তার টেকসই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

শুধুমাত্র এখনকার তরুন রাজনীতিকদের দোষ দিচ্ছিনা। মৃত্যু দরজায় কড়া নাড়ছে তবুও ইসলাম, আল্লাহ, রাসুলের বিপক্ষে কথা বলতে একটু দ্বিধেোবধ করছে না অনেক প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তারা শুধু তাদের নেতা নেত্রীকে খুশি করে পরকালে যেতে পারলেই খুশি। আমার বোধদয় হয়না যেখানে কোরআন হাদিসে মুর্তি ও ভাস্কয্যের ব্যাপারে স্পস্ট ভাবে উল্লেখ করা আছে সেখানেতো আলেম ওলামাদেরও বলার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয়না। আল্লাহ রাসুলের কথা স্মরণ করে মৃত্যুর কথা ভেবে নিজেরাই তার প্রমাণ খুজে বের করতে পারে, অথচ ইসলামি পক্ষের লোকগুলো এতো স্পস্ট ভাবে বলার পরও তারা সেগুলোর পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। মনে হচ্ছে যে, ভাস্কয্য বানালে তাদের আত্বাও শান্তি পাবে এবং কবরে বঙ্গবন্ধুর আত্বাও শান্তি পাবে। অথচ যারা মুর্তি ও ভাস্কয্যর পক্ষে কথা বলছে অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালোভাসে বলছে তারা কি আদৌ আল্লাহর  দেওয়া নির্দেশ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে? নামাজের পর বঙ্গবন্ধুর জন্য কেদে কেদে দোয়া করে? কখনোই না, যারা প্রকৃত পক্ষে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে তারা মন থেকে তার জন্য দোয়া করে। নামাজ পড়েও দোয়া করে। বাকিরা শুধুমাত্র ব্যানার পোস্টারে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তেল বাজি করে একটি ছবি আপলোড করতে পারলেই কাম শেষ।


বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসার বহি:প্রকাশ কি শুধুমাত্র মুখে বললেই শেষ। আমার মতে, যারা বঙ্গবন্ধুকে প্রকৃত অর্থে ভালোবাসে তারা নামাজ পড়ে দোয়া করবে, মানুষের কাছে তার জন্য দোয়া চাইবে। যার মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে মানুষের দোয়া গুলো পৌছাতে পারলে তার কবরে শান্তি বর্ষিত হবে। আল্লাহর কাছে দোয়া কবুলের পূর্ব শর্ত হচ্ছে নামাজ পড়া, সত্য কথা বলা, মিথ্যা পরিহার করা, যিনা ব্যাভিচার থেকে বিরত থাকা, জুলুম অত্যাচার না করা, দুর্নিতি না করা, ক্ষমতার অপব্যবহার না করা ইত্যাদি। যেগুলোর কথা বলেছি , কোনো রাজনৈতিক নেতা কর্মী কি এর কোন একটি থেকেও বিরত? অবশ্যই না। যেগুলো বলেছি সবগুলোই তাদের রোটি রোজির পন্থা। এভাবেই যদি চলে রাজনৈতিক ইতিহাস, সে আর যাই হোক দুনিয়া এবং পরকাল দুটিতেই নিশ্চয়ই অপেক্ষা করছে ভয়ঙ্কর শাস্তি।
কিছুদিন আগের একটি খবর, ছাত্রলীগের দুইজন নেতা ভাস্কয্যের বিপক্ষে কথা বলায় তাদেরকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তারা কি বলেছিলো? তারা বলেছিলো ধর্ম থেকে দল বড় নয়, দলের কারনে ধর্মকে ছোট করতে পারিনা। কোরআন হাদিসের রেফারেন্সও দিয়েছিলো তাতেও কাজ হয়নি। দল থেকে বহিস্কার। এই যদি হয় রাজনীতির নীতি পরকাল আমাদের জন্য মনে হয় শান্তির অভাব হবেনা!!!

ভাস্কয্য কি এমন ব্যপার, যেটাকে ইসলামের বিরোদ্ধে গিয়ে হলেও বানাতে হবে? আসল কথা হলো ভাস্কয্য কোনো বিষয় নয়, বিষয়টা হলো আলগা পিরিত, ধান্ধার হাড়ি। যার ভাস্কয্য নিয়ে এতো কথা তারই উত্তরসূরি রাষ্ট্র ক্ষমতায়। যেহেতু তার পিতা সেহেতু তার পিতাকে নিয়ে মানুষ যা কিছুই করুক তার কাছে ভালোই লাগবে। কেউ ভালোর জন্য বলছে ভাস্কয্যর বিরুদ্ধে কেউবা আবার দুর্নিতির রাস্তা খোলার জন্য বলছে মুর্তির পক্ষে। যারা পক্ষে বলছে আদৌ কি তাদের ইমানের শক্তি আছে? এক ওয়াক্ত নামাজও কি পড়ে? কোরআন হাদিস সম্পর্কে নুন্যতম জ্ঞান আছে কি ?

কিছুদিন আগে যমুনা টেলিভিশনের একটি সংবাদে দেখলাম, শুধুমাত্র ভাস্কয্যর নামে শত শত কোটি টাকা ইতিমধ্যে কুমিরের পেটে চলে গেছে ভাস্কয্যের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। অথচ দেশের আনাচে কানাচে, বস্তিতে, রেললাইনের দ্বারে লক্ষ লক্ষ অসহায় মানুষ মুঠো আহারের যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে, সেদিকে তাদের নজর নেই। অসহায় মানুষগুলো কিগুলো তাদের প্রাপ্যে অধিকারটুকুও পাবেনা?? রাষ্ট্রীয় খরচে যেখানে মুর্তি হতে পারে সেখানে মানুষগুলো অনাহারে অর্ধাহারে দিনযাপন করছে সেই খরচের ভাগিদার কি এসব মানুষগুলো হতে পারেনা?
বলতে গেলে অনেক বলা যাবে, কিন্তু শ্রোতা না থাকলে সেই বলার কোনো অর্থই হয়না। নিজের ক্ষুদ্র বিবেককে প্রশ্ন করলে সমাধান নিকটেই। তর্ক বিতর্ক পিছনে ফেলে শুধুমাত্র ইসলামী মূল্যবোধকেও যদি প্রাধান্য দেই সকল বিবর্কের অবসান হতে বাধ্য। সেই ইসলামী মূল্যবোধ টুকুই আমাদের মধ্যে অনুপস্থিত, কোন দিকে যাচ্ছে ইসলামী মূল্যবোধ? তথাকথিত নেতা নেত্রীরাই কি পরকালে আমাদের জন্য সহায় হবে। আমাদের বিবেকের কাছেই প্রশ্ন রইলো। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আজ এ পযন্তই। আল্লাহ হাফেজ।



লেখক “মামুন সরকার”

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন