ইউটিউব ভিডিও কিভাবে SEO করা হয়?

প্রথমে জানি এসইও কেনো করা হয়? এসইও করার মুল কারন হলো ভিডিওর ভিউস বাড়ানো। সাধারণ ভাবে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার পর সেই ভিডিওতে অটোমেটিক ভাবে কোনো ভিউস আসেনা। অটোমেটিক ভিউস আনার জন্য প্রয়োজন মানুষ বর্তমানে ইউটিউব, গুগলে কোন কিওয়ার্ডগুলো নিয়ে বেশি সার্চ করছে সেই কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করা। যাতে করে কেউ ইউটিউব বা গুগলে সার্চ করলে সহজেই তাদের কাঙ্খিত ভিডিওকে পেয়ে যাবে। অবশ্য ইউটিউবের ভিডিওগুলো গুগল সার্চে পাওয়ার জন্য প্রয়োজন কোনো ওয়েবসাইটে ভিডিওর লিঙ্ক এড করা অথবা ভিডিওকে এম্বেড করা। তাহলেই কেউ তাদের কাঙ্খিত কিওয়ার্ডটি নিয়ে গুগল কিংবা ইউটিউব যেখানেই সার্চ করুক না কেনো তাদের কাঙ্খিত ফলাফল পেয়ে যাবে। আপলোকৃত ভিডিওকে মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন ভিডিওর এসইও মানে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। যেটি গুগল এবং ইউটিউব থেকে মানুষ সার্চ করে দেখে থাকে।  ইউটিউব ভিডিও এসইও করার অনেক মাধ্যম, অনেক টেকনিক রয়েছে। এডভান্স লেভেলের এসইও এক্সপার্টরা বিভিন্ন প্রকার পেইড এসইও এক্সটেনশন  সার্ভিস ব্যবহার করে থাকে।


ইউটিউব প্রশ্ন উত্তর ২য় পর্ব

এবার মূল প্রশ্নে আশা যাক। একজন এডভান্স লেভেলের ইউটিউবার যেভাবে ভিডিও এসইও করে থাকে। প্রথমে তারা ভিডিওর টপিক ঠিক করে। ভিডিওর টপিক ঠিক করার জন্য ইউটিউব ট্রেন্ডিং, ফেসবুক ট্রেন্ডিং, টুইটার ট্রেন্ডিং, ইন্সট্রগ্রাম ট্রেন্ডিং সহ আলো অন্যান্য মাধ্যমের সাহায্যে নিয়ে থাকে। টপিক চূড়ান্ত করার পর, ভিডিও বানিয়ে সেটির একটি টাইটেল দেয়। এই টাইটেলটিই হলো ইউটিউব ভিডিওর মুল অংশ , যেটির মাধ্যমে মানুষ ইউটিউবে সার্চ করে ভিডিও গুলো দেখে থাকে। ইউটিউব ভিডিও এসইও করার জনপ্রিয় একটি এক্সটেনশন হচ্ছে টিউব বাড্ডি, এই এক্সটেনশজনের মাধ্যমে কোন কিওয়ার্ড নিয়ে মানুষ বেশি সার্চ করে, কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম কত, সিপিসি রেট কত, হাই কম্পিটিশন লো কম্পিটিশন কত ইত্যাদি বিশ্লেষন করে পছন্দ অনুযায়ী কি ওয়ার্ড বাছাই করে থাকে। এছাড়াও গুগল কিওয়ার্ড টুলস (Google keyword tools), কিওয়ার্ড অ্যাভরিহোয়্যার (Keyword everywhere), এসইএমরাস (SEMrush) সহ আরো অনেক জনপ্রিয় কিওয়ার্ড রিচার্স টুলস রয়েছে যেগুলোর সাহ্যয্যে একজন প্রফেশনাল ইউটিউবার তাদের ভিডিওকে এসইও করে থাকে।


ইউটিউব কাস্টম ইউআরএল (Custom url) কি?


ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর প্রথম অবস্থায় ইউটিউব চ্যানেলের লিঙ্ক গুলো হয়ে থাকে UC_KYhuK4d2ZF2peiqh6dpXQ এরকম হিজিবিজি, কাস্টম ইউআরএল করে নিচে উল্লেখিত লিঙ্কের মতো  http://www.youtube.com/c/TECHCONTENDER করতে পারেন।  আপনার পছন্দমতো যে কোনো নাম দিয়ে ইউআরএল তৈরী করতে পারেন। Custom url পাওয়ার জন্য ইউটিউব চ্যানেলে মিনিমাম ১০০ সাবসক্রাইবার লাগবে। Custom url এক বছরের মধ্যে ৩বার পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়ে থাকে ইউটিউব থেকে। কাস্টম ইউআরএল দ্বারা চ্যানেলকে খুব সহজেই ইউটিউবে সার্চ করে খুজে পাওয়া যায়।



মায়াজাল, তাজা নিউজ-এর মতো ইউটিউব চ্যানেলগুলো কোথায় থেকে এতো তথ্য পায়?

মায়াজাল, তাজা নিউজ, পিনিকপাই চ্যানেল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইন্সট্রগ্রাম, পিনটারেন্ট থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে থাকে। তাছাড়াও তাদের চ্যানেল বড় হওয়াতে অনেকেই গুরুত্বপূর্ন ভিডিও তাদেরকে ফ্রি অথবা টাকার বিনিময়ে দিয়ে থাকে। বিশ্বে প্রতিদিন হাজারো অদ্ভুদ ঘটনা ঘটে থাকে যেগুলো সচরাচর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়না। সেসব অদ্ভুদ ঘটনা গুলো বিভিন্ন দেশ ভিত্তিক হওয়াতে বিশ্বব্যাপী সেগুলো প্রচারিত হয়না। ইংরেজী ভাষা ছাড়াও অন্যান্য ভাষায়ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনেক ভিডিও ফুজেট আপলোড করে থাকে, মূলত সেই সাইট গুলোকে খুজে বের করে সেখান থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে থাকে। এছাড়াও পিক্সেল, কভার, পিক্সাবে, হংকিট,টেক রাডার ভিডিওবো,মিক্সকিট ইত্যাদি সাইট গুলোকে অনেক ফ্রি ভিডিও আপলোড করে থাকে। সেখান থেকেও মায়াজাল, তাজা নিউজ, পিনিকপাই, অদ্ভুদ ১০ মতো চ্যানেল গুলো ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তাদের চ্যানেলে ব্যবহার করে থাকে।


আরেকটি বিষয় খেয়াল করে দেখবেন তাদের প্রচারিত ভিডিও ফুটেজ গুলো প্রত্যেকটি ১ মিনিট অথবা ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে হয়ে থাকে। সংক্ষিপ্ত আকারে ভিডিও কপি করলে মুল ভিডিওর মালিক এতে কপিরাইট ক্লেইম করার আগ্রহ দেখায় না। মূল ভিডিওর মালিক যদি মনে করে ১ সেকেন্ডের ভিডিওতে ক্লেইম করবে আইনত তার ক্লেইমটি বৈধ বলে বিবেচিত হবে। একটি ভিডিওর কপিরাইটের মূল কারণ হচ্ছে ভিডিও সাউন্ড। তাদের চ্যানেলে ভিডিও ফুটেজ গুলো ব্যবহার করার সময় আসল সাউন্ডটিকে রিমোভ করে তাদের নিজস্ব সাউন্ড ব্যবহার করে থাকে। আরেকটি বিষয় খেয়াল করবেন, তাদের চ্যানেলের ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজও একসাথে না দিয়ে বিভিন্ন পজিশনে দিয়ে থাকে। তাদের চ্যানেলে এসব অদ্ভুদ ও অবিশ্বাস্য ভিডিও ফুটেজ পাওয়ার আরেকটি বৈধ মাধ্যম হলো ইউটিউব ক্রিয়েটিভ কমন। ইউটিউব ক্রিয়েটিভ কমনের অধীনে যারা ভিডিও আপলোড করে সেই ভিডিওগুলো যে কেউ ইচ্ছা করলে কপিরাইট ক্লেইম, কপিরাইট স্ট্রাইক ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও দিন দিন তাদের চ্যানেলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণে অনেক লোককে তারা টাকা কাজ করিয়ে থাকে শুধু মাত্র আনকমন ভিডিও ফুটেজ তাদেরকে দেওয়ার জন্য। আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন।


ইউটিউবে ভিউ কিভাবে গণনা করা হয়?

ইউটিউবের ভিউস গননা করা হয় এভাবে, কেউ যদি একটি ভিডিওর নুনতম ৩০ সেকেন্ড ওয়াচ করে তাহলেই সেই ভিডিওটির একটি ভিউস গননা করা হয়। ৩০ সেকেন্ডের কম সময় দেখে কেউ যদি ভিডিওটি আর না দেখে তাহলে সেটিকে ভিউসএর আওতায় গননা করা হয়না। আপনি একটি জিনিস লক্ষ করবেন আমরা যখন কোনো ভিডিওর সামান্য অংশ দেখে ভিডিওকে স্কিপ করে বেরিয়ে যাই এবং পরবর্তীতে একই ভিডিও আমাদের নিজের চ্যানেলে পূনরায় দেখার জন্য ওপেন করি তখন সর্বশেষ যেখান থেকে ভিডিওকে স্কিপ করা হয়েছিলো ঠিক সেখান থেকেই পুনরায় শুরু হয়ে থাকে এবং সবমিলিয়ে ৩০ সেকেন্ড দেখা হয়ে গেলে ইউটিউব উক্ত ভিডিওকে একটি ভিউসয়ের আওতায় গননা করে থাকে। ৩০ সেকেন্ডের বেশি যতবার একটি ভিডিও ওয়াচ করবে ততবারই ভিউস হিসেবে গননা করা হবে। যদি ৫০ বারও কেউ ৩০ সেকেন্ডের বেশি দেখে ভিডিও থেকে বের হয়ে যায় তাহলেও বারের জন্য ৫০ টি ভিউস গননা করা হবে ইউটিউব থেকে। আশা করি উত্তর পেয়েছেন।


ইউটিউবে আপলোড করা সর্বপ্রথম ভিডিওটির ব্যাপারে জানাতে পারেন?

ইউটিউবে আপলোড করা সর্বপ্রথম ভিডিও হলো মি এট দা জু এই ভিডিওটি সর্বপ্রথম আপলোড করেছিলেন ইউটিউবের প্রতিষ্ঠাতা আমাদের বাংলাদেশী বংশদূত জাবেদ করিম। এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখ ২০০৫ সালে ভিডিওটি আপলোড করেছিলেন। ভিডিওর দৈর্ঘ ছিলো মাত্র ১৯ সেকেন্ড। এখন পর‌্যন্ত (১২/১১/২০২০) ভিডিওটি ভিউস হয়েছে ১২৩ মিলিয়ন। আরেকটি চমৎকার তথ্য হচ্ছে জাবেদ করিমের নামে খোলা এই চ্যানেলে ঐই একটি ভিডিওই আপলোড করেছেন এখন পর‌্যন্ত। মাত্র ১৯ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওর কারনে তার চ্যানেলের সাবসক্রাইবার সংখ্যা এখন সর্বশেষ ১.৩ মিলিয়ন!!! কি অবিশ্বাস্য ব্যাপার!! আমরা সারাদিন রাত কাজ করেও যেখানে ১ জন সাবসক্রাইবার বাড়াতে পারিনা সেখানে ১৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও দিয়েই ১.৩ মিলিয়ন সাবসক্রাইবার!! এখনো প্রতিদিন তার চ্যানেলটি কেউ না কেউ সাবসক্রাইবস করছে। আরেকটি বিষয় হলো ১৯ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওটি আপলোড করেছে ক্রিয়েটিভ কমনের আন্ডারে যেটি আপনি চাইলে আপনার চ্যানেলেও আপলোড দিতে পারেন কোনো রকম কপিরাইট ক্লেইম, কপিরাইট স্ট্রাইক ছাড়াই। ইস এরকম একটি চ্যানেল যদি আমার থাকতো।


আরো পড়ুন> ইউটিউব কত ভিউসে কত টাকা দেয়?



ইউটিউব চ্যানেল-এর ভিডিও কীভাবে ভাইরাল করতে হয়?

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার প্রকৃতপক্ষে কোনো নিয়ম নেই বললেই চলে। ভাইরাল ভিডিও হলো হ্যামিলিয়নের বাশিওয়ালার মতো, হ্যামিলিয়নের বাশিওয়ালা যখন বাশি বাজায় ইদুরগুলো আদও জানেনা কেনো তারা বাশিওয়ালার পিছনে ছুটছে। কোনো একটি ইদুর হয়তো বুঝে না বুঝে তার পিছনে দৌড় দিয়েছে বাকি ইদুরগুলোও তাকে অনুসরণ করেছে। যাইহোক ইদুর দিয়ে বুঝালাম মনে কোনো কস্ট নিয়েন না। যাইহোক ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার সহ সামাজিক যোগাযোম মাধ্যমের ভিডিওগুলো মূলত এভাবে ভাইরাল হয়ে থাকে। ভিডিও আপলোড দেওয়ার প্রথম অবস্থায় কেউ ভিডিওটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে থাকে। শেয়ারকৃত ভিডিওটি আবার অন্যকেউ শেয়ার ছড়িয়ে দেয় বিভিন্ন জনের কাছে, আর এভাবেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে থাকে। শত চেস্টা করে, এডভান্স লেভেলের এসইও করেও ভিডিওকে ভাইরাল করা সম্ভব নয়। ভাইরাল ভিডিও গুলো মূলত কোনো না কোনো কারনে একটু ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। যে ভিডিও এখন পর‌্যন্ত কেউ দেখেনি এমন হয়ে থাকে। আপনি খেয়াল করে দেখবেন যতগুলো ভাইরাল ভিডিও আছে সবগুলো ভিডিওই অটোমেটিকভাবে ভাইরাল হয়েছে। এসইও করে ভিডিও ভাইরাল করার সংখ্যা একেবারেই কম।


ভাইরাল ভিডিও গুলো মূলত এরকম হয়ে থাকে, কোনো নাম করা জনপ্রিয় ব্যক্তি বা তারকা যদি সচরাচর নিয়মের ভাইরে কিছু করে থাকে এবং সেই মুহুর্তটিকে যদি কোনো ভাবে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করা যায় তাহলে নিশ্চিত সেই ভিডিওটি ভাইরাল হবে। অথবা কোন এক পুচকি নেতা মন্ত্রীর গায়ে হাত তোলেছে আর এই মুহুর্তটি কেউ ভিডিও করেছে তাহলেও সেই ভিডিওটিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। মোট ব্যতিক্রম কিছু থাকতে হবে ভিডিওতে। কোনো নেতা-নেত্রী, বা নায়ক-নায়িকা যদি অসামাজিক কাজ করে অথবা ভালো মানবিক কাজ করে যেটি ইতোমেধ্যে কেউ দেখেনি তাহলেও সেই ভিডিওটিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এছাড়াও মারামারি, হত্যা-খুন অথবা খেলায় জয়ী হওয়া ইত্যাদি মুহুর্তের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে হ্যা, ভিডিওকে ভালো মানের এসইও করতে পারলে, ভাইরাল না হলেও হিউজ পরিমাণ ভিউস আসবে এটা বলতে পারি। নিচে উল্লেখিত বিষয়ের উপর যদি ভিডিও তৈরী করেন কোনো না কোনো সময় আপনার ভিডিও ভাইরাল হবেই। তবে আপনাকে দৈর্য ধরে ইউটিউবের সাথে লেগে থাকতে হবে। এমনও আছে ১০০০ বা ২০০০ হাজার ভিডিও আপলোড করেও ভিডিও ভাইরাল হয়নি। আবার ১ বা ২টি ভিডিও আপলোড করেও ভাইরাল হওয়ার ঘটনা বহুবার দেখেছি।


এবার মুল প্রশ্নে আসা যাক, ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে প্রথমে ভিডিউর টপিক বাছাই করুন। যেমন কমেডি, ফানি, মিউজিক, প্রাঙ্ক, চ্যালেন্জিং ভিডিও, গেমিং, ইসলামিক ভিডিও, নিউজ ভিডিও ইত্যাদি। আপনার পছন্দের টপিকের উপর ভিডিও বানিয়ে সেটিকে ভালোবাবে এসইও করুন। এসইও টুলস হিসেবে গুগল কিওয়ার্ড প্লেনার (Google keyword planner) অথবা টিউববাড্ডি (Tube buddy) এক্সটেনশনটি ব্যবহার করতে পারেন সম্পূন্ন ফ্রিতে। উক্ত টুলস দ্বারা রিচার্স করে বের করুন কোন কিওয়ার্ডটি সবচেয়ে বেশি সার্চ করে মানুষ। আরেকটি ব্যাপার লক্ষ রাখবেন সার্চ ভলিউম বেশি হলেই সেই কিওয়ার্ডটি নেওয়া উচিত নয়, আপনাকে লক্ষ রাখতে হবে সার্চ ভলিউমের পাশাপাশি কম্পিটিশনও কম থাকতে হবে।

কিওয়ার্ড ঠিক করার পর সেটিকে ইউটিউব ভিডিউর টাইটেল ও ডেসক্রিপশনে ব্যবহার করুন। ডেসক্রিপশনে ভিডিউর বিস্তারিত তুলে ধরুন। ভিডিউর টাইটেল ও ডেসক্রিপশন দেওয়ার পর টাইটেল, ডেসক্রিপনের সাথে মিল রেখে ভিডিওতে ট্যাগ ব্যবহার করুন। ট্যাগ জেনারেট করার জন্য Tag Generator টুলসটি ব্যবহার করতে পারেন। টাইটেল, ডেসক্রিপশন, ট্যাগের কাজ শেষ করার পর ভিডিওকে আপলোড দিন। আপলোডের পর ভিডিওতে কার্ড বসান একটি ভিডিওতে ৫টি কার্ড বসানো যায়। কার্ড হলো ভিডিও চলাকালীন সাজেস্টেড লিঙ্ক হিসেবে প্রদর্শন করবে। ভিডিউর শেষে এন্ড স্কিন ব্যবহার করুন। এন্ড স্কিন হলো ভিডিউর শেষে আপনার চ্যানেল অথবা আপনার পছন্দমতো যেকোনো একটি ভিডিও দেখার জন্য প্রদর্শন করতে পারেন। উপরের  সবকিছু সঠিকভাবে করার পর উক্ত ভিডিওকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার চেস্টা করুন। বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর সাইটে উত্তর দিয়ে লিঙ্ক জেনারেট করুন। সবগুলো সঠিকভাবে পালন করলে আশা করি আপনার ভিডিও ভাইরাল হবেই ইনশাআল্লাহ।



ইউটিউবে সবচাইতে বেশি ভিডিও কোন চ্যানেলে রয়েছে?

ইউটিউবের ইতিহাসে সবচাইতে বেশি ভিডিও আপলোড হয়েছে CODblackopsPS নামক চ্যানেলে। এখন পর‌্যন্ত ১০,৬৭,৪১০ টি ভিডিও আপলোড করেছেন যা ইউটিউবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

 

ইউটিউবার স্বপন আহমেদ কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ওনার ভিডিওগুলি এডিট করেন? কিভাবে সম্ভব এমন এডিটিং?


ইউটিউবার স্বপন আহম্মেদ এডোবি প্রিমিয়ার প্রো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার দ্বারা ভিডিও এডিটিং করে থাকেন। ব্যাকরাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করেন গ্রিনস্কিন।


ইউটিউব-এর সবচেয়ে দীর্ঘতম ভিডিওটি কোনটি?

ইউটিউব এর সবচেয়ে দীর্ঘতম ভিডিওটি আপলোড করেছেন MoldytoasterMedia চ্যানেলে। ঐ ভিডিওটির দৈর্ঘ ছিলো ৫৯৬ ঘন্টার। এই ভিডিওটি ২০১১ সালে আপলোড করেছিলেন তার চ্যানেলে। যদিও বর্তমানে ভিডিওটি ইউটিউব থেকে ডিজেবল করে দিছে। দীর্ঘ ভিডিও হওয়ার কারনে।


ইউটিউব চ্যানেল বুষ্ট (boost) করা হয় কিভাবে এবং কেন করা হয় ?

ইউটিউব চ্যানেল বুষ্ট করা হয় গুগল এডস, ফেসবুক ক্যাম্পেইন, ইন্সট্রগ্রাম এড ইত্যাদির মাধ্যমে। ক্রেডিট কার্ড দ্বারা বুস্টকৃত এডের টাকা পেমেন্ট করে থাকে। ইউটিউব চ্যানেল বুষ্ট করা হয় ভিডিওর ভিউস এবং চ্যানেলের সাবসক্রাইবার বাড়ানোর জন্য। আমরা যখন ইউটিউবে প্রবেশ করি ইউটিউবের প্রত্যেকটি ভিডিওতে কোনো না কোনো এড শো করে থাকে। কোনো এড ভিডিও আকারে কোনো এড ব্যানার আকারে আর এই এডগুলোই কেউ না কেউ বুস্টের মাধ্যমে এড শো করিয়ে থাকে।

 

ইউটিউব ছাড়া আর কোন কোন ভিডিও প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করা যায়?

ইউটিউব ছাড়া অন্যান্য যেসব প্লাটফর্মে ভিডিও আপলোড করা যায় তার তালিকা নিচে দেওয়া হলো।

  • Dailymotion
  • Vimeo
  • Twich
  • Vevo
  • Metacafe
  • Petreon
  • Brid.TV
  • Wistia
  • IGTV


আরো পড়ুন>  সর্বশেষ বাংলাদেশের সেরা ২০ ইউটিউব চ্যানেল। বাংলাদেশের শীর্ষ ২০ ইউটিউব চ্যানেল।


আমি কি ইউটিউবে আরেকজনের ভিডিও কপি করে আমার চ্যানেলে আপলোড দিতে পারি?

সোজা কথায় বললে আরেকজনের ভিডিও কপি করে আপলোড দিতে পারেন, তবে কপিরাইট ক্লেইম অথবা কপিরাইট স্ট্রাইক খাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। যদি প্রফেশনাল ইউটিউবার হওয়ার স্বপ্ন থাকে কপিরাইট মুক্ত থেকে নিজে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে পারেন। কপিরাইট না করে  এর চেয়ে সহজ একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। ইউটিউব ক্রিয়েটিভ কমন থেকে ভিডিও আপলোড করে আপনার চ্যানেলে ব্যবহার করতে পারেন সম্পূর্ন কপিরাইট ক্লেইম ও কপিরাইট স্ট্রাইক ছাড়া। অনেকের ধারনা ১০ সেকেন্ড, কিংবা ২০ সেকেন্ড অথবা ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও ব্যবহার করলে কপিরাইট ক্লেইম বা স্ট্রাইক আসবেনা। এই ধারনা সম্পূর্ন ভুল। যেকোনো সেকেন্ডের ভিডিও আপলোড করলেই মূল ভিডিওর মালিক কপিরাইট ক্লেইম, বা স্ট্রাইক দেওয়ার ক্ষমতা সংরক্ষন করে। তবে সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে কোনো প্রকার এড শো করানো যায়না বিধায় অনেকেই ভিডিও ব্যবহারে কোনো প্রকার ক্লেইম করে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।


. ভিডিওর শুরু এবং শেষে আকর্ষনীয় ইন্ট্রো ব্যবহার করুন।

. ভিডিও উপস্থাপনের সময় ভিউয়ারদের মনোযোগ আকর্ষন করুন।

. গুরুত্বপূর্ন কথাগুলো একসাথে না বলে পুরো ভিডিওতে অল্প অল্প করে বলার চেস্টা করুন।

. এমন একটি টপিক সংক্রান্ত গল্প বলুন যাতে দর্শকের মনোযোগ বৃ্দ্ধি পায়।

. কথা বলার সময় মাঝে মধ্যে আপনার চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করতে বলুন।

. আপনার ভিডিওকে শেয়ার করতে বলুন।

৭. রুটিন মাফিক একই সময় ভিডিও আপেলোড করার চেস্টা করুন।

. ভিডিওটি কেমন হয়েছে তা সম্পর্কে মতামত দিতে বলুন।

. পরবর্তী ভিডিও কিসের উপর দেখতে চান তাও বলুন।

১০. ভিডিওতে কার্ড হিসেবে পছন্দমতো ভিডিও এড করুন।

১১. ভিডিওর শেষে এন্ডস্কিন এড করুন।

১২. ভিডিওগুলোকে প্লেলিস্ট আকারে সাজিয়ে রাখুন।

১৩. মোট কথা আপনি যতক্ষন মূল প্রসঙ্গে কথা বলবেন ঠিক ততক্ষন অন্যান্য বিষয়গুলোও বলুন।


আরো পড়ুন> সফল ইউটিউবার হওয়ার সম্পূর্ণ বাংলা গাইডলাইন 2020



লেখক : মামুন সরকার

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন