ব্লগার ও ওয়ার্ডপ্রেস এর বিস্তারিত আলোচনা।

ব্লগসাইট কিংবা ওয়েবসাইট তৈরী করার জন্য নতুনদের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে কনফিউসড হয়ে পড়েন। ব্লগার নাকি ওয়ার্ডপ্রেস? ইন্টারনেট জগতে বহুল জনপ্রিয় কয়েকটি ওয়েবসাইট তৈরীর মাধ্যমের মধ্যে Google blogger ও wordpress দুটি বহুল জনপ্রিয়। উল্লেখিত দুটি প্লাটফর্মের মধ্যে Google Blogger কে ব্লগস্পট হিসেবে অবহিত করা হয় এবং WordPress কে আবার দুটি প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হয়, একটি হলো Wordpress.com and Wordpress.org। উল্লেখিত সাইটের কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। ব্লগিং ক্যারিয়ারের শুরুতে নতুনদের কাছে সুবিধা ও অসুবিধা গুলো তেমন একটা চোখে না পড়লেও ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে সুবিধা ও অসুবিধাগুলো ধরা পড়ে। প্রথম অবস্থায় অনেকের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে গিয়েও সঠিক কোন সঠিক পরামর্শ নিতে পারেন না। ব্লগার নাকি ওয়ার্ডপ্রেস কোনটি ব্যবহার করবেন, এ বিষয়টি নির্বাচন করার পূর্বে দুটি বিষয় নিয়ে ভালভাবে জানতে হবে। এই আর্টিকেলে আমি Google Blogger এর কিছু সুবিধা-অসুবিধা এবং ওয়ার্ডপ্রেস.কম ও ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ এর তুলনামূলক কিছু পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করব।

ব্লগিং ক্যারিয়ারের শুরুতে প্রথমেই যে বিষয়টি নিয়ে সবাই দ্বিধাদ্বন্ধে পড়ে সেটি হলো আমি WordPress দিয়ে ব্লগিং শুরু করব নাকি Google Blogger দিয়ে শুরু করব? অথবা কিভাবে ব্লগ সাইট বানাব। তখন অনেকে পরামর্শ দেন WordPress দিয়ে শুরু করার জন্য আবার অনেকে Google Blogger দিয়ে ব্লগিং শুরু করার পরামর্শ দেন। কিন্তু বিস্তারিত ভাবে কোনটি ভালো হবে সেটি সম্পর্কে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। এর মূল কারণ হলো অধিকাংশ ব্লগারই যে কোনো একাটি প্লাটফর্মে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে থাকেন। এই জন্য কেউ বলবে গুগলের ব্লগার অনেক ভালো হবে। আবার কেউ বলবে ওয়ার্ডপ্রেস ভালো হবে। আজকের এই আর্টিকেল আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আপনি কোন মাধ্যম দিয়ে ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন। তার আগে আরেকটি বিষয় সম্পর্কে সামান্য কিছু জেনে নেওয়া যাক। WordPress.Com এবং WordPress.Org এর সম্পর্কে। উল্লেখিত দুটি বিষয় শুনতে আপাত দৃষ্টিতে এক মনে হচ্ছে, কিন্তু দুটির মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এ দুটি বিষয় নিয়ে লিখার পূর্বে একটি কথা সংক্ষেপে বলে রাখছি যে, WordPress.Com হচ্ছে WordPress এর একটি ফ্রি বেসিক ভার্সন। এটি আপনি সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যদিকে WordPress.Org হচ্ছে WordPress এর পরিপূর্ণ প্রফেশনাল ভার্সন, যেটি আপনাকে টাকার বিনিময়ে হোস্টিং কিনে নিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এটির পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রন এবং দায় আপনাকেই বহন করতে হবে। বেশি কথা না বলে চলুন মূল বিষয় শুরু করা যাক।


"অনলাইনে আয় করার পদ্ধতি" "ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয়" "অনলাইনে কি কি কাজ করা যায়" "অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট" "অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি" "অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২১" "ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি" "মিউজিক ভিডিও বানানোর নিয়ম" "ইউটিউব ভিডিও তৈরির নিয়ম" "ইউটিউব ভিডিও তৈরী" "ডিজিটাল মার্কেটিং ট্রেনিং" "ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়" "ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করবো" "ডিজিটাল মার্কেটিং শিখুন" "ইন্টারনেট মার্কেটিং কি" "ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব" "ফেসবুক ভিডিও থেকে আয়" "অনলাইনে কিভাবে আয় করা যায়" "ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয়" "কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়" "ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয়" "ফেসবুক থেকে কি সত্যিই টাকা আয় করা যায়"




Blogger, WordPress.Com ও WordPress.org এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ন কিছু পার্থক্য সুবিধা ও অসুবিধাগুলো এবং মূল বিষয়বস্তুগুলো বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হলো।

ওয়েবসাইট Software or Subscription :

ওয়ার্ডপ্রেস.কম : ওয়ার্ডপ্রেস থেকে প্রিমিয়াম ডোমেইন ক্রয়ের এর মাধ্যমে সাবসক্রিপশন ফি মাসিক ৪ ডলার থেকে বাৎসরিক ৪৮ ডলার হয়ে থাকে। ব্যাক্তিগত, অফিসিয়াল বা ইকমার্স প্ল্যানের জন্য টাকার রেট কম বেশি হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার পর ডোমেইন বা অন্যান্য সার্ভিস গুলো রিনিউ না করলে আপনার ওয়েবাসইটটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফ্রি সাবডোমেইন সাবক্রিপশনের কোনো লিমিটেড মেয়াদ নেই। এটা কখনো রিনিউ করার প্রয়োজন নেই। ওয়ার্ডপ্রেসে সাবসক্রিপশন ও সাইট তৈরী করতে প্রথমে আপনাকে www.wordpress.com লিখে গুগলে সার্চ করে উক্ত সাইটে ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দ্বারা ওয়ার্ডপ্রেস একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেস একাউন্ট ক্রিয়েট করার পর সাইনআপ করতে হবে।

ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ : WordPress.org তে ওয়েবসাইট তৈরী করার জন্য ডোমেইন ও হোস্টিং কিনে সাইট সেটাপ করার কারণে ওয়ার্ডপ্রেসে কোনো সাবক্রিশন করার প্রয়োজন হয় না।

ব্লগার : ফ্রি সাবডোমেইন দিয়ে ব্লগারে সাইট তৈরী করতে কোনো সাবক্রিপশনের প্রয়োজন হয়না। কিন্তু যদি আপনার সাইটে প্রিমিয়াম ডোমেইন এড চান তাহলে ডোমেইন প্রোভাইডারের কাছে থেকে টাকার বিনিময়ে সাবক্রিপশন করতে হবে। সাবক্রিপশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যদি রিনিউ করা না হয় তাহলে ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দিবে। এতে করে আপনার ডোমেইনটি অন্য কেউ কিনে নিতে পারে।



ওয়েবসাইট ডোমেইন :

ওয়ার্ডপ্রেস.কম : ওয়ার্ডপ্রেস. কম ফ্রি এবং প্রিমিয়াম উভয় সুবিধা দিয়ে থাকে। সম্পূর্ন ফ্রিতে ওয়েবসাইট বানানোর জন্য আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেসের সাবডোমেইন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। উদাহরণ : www.infoplusbd.wordpress.com এর মতো একটি ওয়েবসাইট সেটাপ করতে পারেন, অথবা আপনি যদি টাকা দিয়ে কাস্টম ডোমেইন কিনে এড করতে চান তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের এড্রেসের শেষে ওয়ার্ডপ্রেসের সাবডোমেইন লেখাটি থাকবে না। উদাহরণ : www.infoplusbd.com এর মতো দেখাবে। প্রিমিয়াম সার্ভিসে প্রতি মাসে $৪-৪৮ ডলার খরচ হয়ে থাকে। ফ্রি প্ল্যানে কাস্টম ডোমেইন এড করা যায় না। সহজ পদ্ধতিতে ব্লগ সাইট খোলার নিয়ম ও ফ্রি ডোমেইনে ব্লগসাইট তৈরী করতে আপনার পছন্দের ডোমেইন বাছাই করার পর সেভ করতে হবে তারপর start with free অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর আপনার ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন কোড চলে যাবে। ইমেইল থেকে সেটিকে কনফার্ম করলেই আপনার ওয়েবসাইট তেরী হয়ে যাবে। এখানে আরেকটি কথা বলে রাখা ভালো আপনি যদি পেইড ডোমেইন কিনতে চান তাহলে সেখানে ডোমেইন বাছাই করার অপশন দেওয়া হবে এবং চারটি প্যাকেজ আপনার সামনে উপস্থাপন করা হবে। এবং ডোমেইন সার্চ করার পর যে ডোমেইন গুলো এভ্যাইলেবল থাকবে ক্যাবল সেগুলোই আপনি সাবক্রিপশন করে সেটাপ করতে পারবেন।


ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ : WordPress.org তে ওয়েবসাইট তৈরী করতে আপনাকে প্রিমিয়াম ডোমেইন কিনে সেটাপ করতে হবে। প্রিমিয়াম ডোমেইন দ্বারা ওয়েবসাইট তৈরী করলে সাইটের এড্রেস হবে এরকম উদা : www.infoplusbd.com এখানে ওয়ার্ডপ্রেসের কোনো সাবডোমেইন এড প্রয়োজন নেই। এর জন্য প্রথমে আপনাকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে। আপনি যদি প্রফেশনাল ব্লগিং করতে চান তাহলে টাকা দিয়ে হোস্টিং কিনে ডোমেইনের সাথে এড করতে হবে। আর যদি কাজ শিখার জন্য সাইট বানাতে চান তাহলে আপনার কম্পিউটারকেই লোকাল হোস্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। ডাউনলোড করার পর ব্লগ সাইট খোলার নিয়ম মেনে সেটাপ করতে আপনাকে প্রিমিয়াম ডোমেইন কিনে সেটাপ করতে হবে। প্রিমিয়াম ডোমেইন দ্বারা ওয়েবসাইট তৈরী করলে সাইটের এড্রেস হবে এরকম www.infoplusbd.com এখানে ওয়ার্ডপ্রেসের কোনো সাবডোমেইন এড করতে হবেনা।


ব্লগার : ব্লগারেও সাবডোমেইন দিয়ে সম্পূর্ন ফ্রি উপায়ে ব্লগসাইট অথবা ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবেন। সাবডোমেইন দ্বারা প্রায় ১০০টির মতো সাইট তৈরী করা যাবে। কিন্তু যদি প্রিমিয়াম বা কাস্টম ডোমেইন এড করতে চান তাহলে একটির বেশি এড করা যাবেনা।

নিচে কয়েকটি ডোমেইন প্রোভাইডারের নাম দেওয়া হলো-
  • Domain.com
  • Bluehost.
  • Network Solutions.
  • HostGator.
  • GoDaddy.
  • Namecheap.
  • DreamHost.
  • BuyDomains.

ওয়েবসাইট হোস্টিং :

ওয়ার্ডপ্রেস.ডম : আপনার যাবতীয় পোস্টের ছবি, টেক্সট ও ডকুমেন্টকে স্টোরেজ আকারে রাখার জন্য ৩ গিগাবাইট পর্যন্ত ফ্রি হোস্টিং স্পেস ব্যবহার করতে পারবেন। ফ্রি সাবডোমেইন দ্বারা হোস্টিং মাইগ্রেশন করতে আপনাকে নিজ থেকে কোনো প্রকার ডিএনএস সেটাপ করতে হবে না। যেটা প্রিমিয়াম হোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে আপনাকে নিজ থেকে ডোমেইন প্যানেলে গিয়ে ডিএনএস সেটাপ করতে হবে। আপনি যদি শুরুতেই ফ্রি প্লাটফর্মে ওয়েবসাইট তৈরী করেন তাহলে হোস্টিংয়ের বিষয়টি আপনার কাছে অপরিচিত ও অন্য রকম মনে হতে পারে।


ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ : এখানে আপনাকে টাকার বিনিময়ে হোস্টিং পারচেজ করে নিজ থেকে ডিএনএস সেটাপ করে হোস্টিং মাইগ্রেশন করতে হবে। হোস্টিং এখানে বাধ্যতামূলক অবশ্যই আপনাকে সেটাপ করে তারপর ওয়েবসাইট তৈরী করতে হবে।


ব্লগার : পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সম্পূর্ন ফ্রি হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইড করে থাকে ব্লগার.কম। আপনাকে শুধু ডোমেইন সেটাপ করে আর্টিকেল পাবলিশ করলেই হবে। ব্লগার হোস্টিয়ের ব্যাপারে অনেকের মধ্যেই একটি কনফিউশন কাজ করে যে, ব্লগারের হোস্টিং সি প্যানেলে কিভাবে লগইন করে অথবা কিভাবে হোস্টিংয়ের ভিতরের সেটাপ কিভাবে পরিবর্তন করে? এক্ষেত্রে আপনাদের জানা দরকার যে, ব্লগারের কোনো হোস্টিং প্যানেলে লগইন করা যায় না সি প্যানেল সেই, সি প্যানেল বলতে ব্লগারের ডেসবোর্ডকেই বুঝানো হয়। তাহলে কিভাবে ডকুমেন্ট আপলোড করে? ডকুমেন্ট আপলোড অটোমেটিক ভাবেই হয়ে যায়। যেমন আপনি যখন কোনো আর্টিকেল পোস্ট করেন তখন তার সাথে যে ছবি সংযুক্ত করেন সেগুলোই হোস্টিং প্যানেলে গিয়ে জমা হয়। এবং যখন কোনো আর্টিকেল ডিলেট করা হয় তখন অটোমেটিক এগুলো রিমুভ হয়ে যায়। ব্লগারের অতিরিক্ত একটি সুবিধা হলো আপনি ইচ্ছা করলে Google Drive এর সাথে ইমেজের লিঙ্ক কনেক্ট করে Storage Space বাড়ীয়ে নিতে পারবেন।

নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় হোস্টিং প্রোভাইডারের নাম দেওয়া হলো-
  • Bluehost – Best Web Host for Beginners.
  • DreamHost – Most Affordable Month-to-Month Plan.
  • Hostinger – Most Affordable Hosting Plans Overall.
  • HostGator – Best for Lean/Minimal Needs.
  • A2 Hosting – Fast & Reliable Shared Hosting.
  • GreenGeeks – Best Eco-Friendly Hosting.


ওয়েবসাইট থিমস :

ওয়ার্ডপ্রেস.কম : এখানে ফ্রি ও প্রিমিয়াম উভয় মাধ্যমেই থিমস সেটাপ করা যায়। ফ্রি থিমস কাস্টমাইজেশন বেশি করা যায় না। কিন্তু প্রিমিয়াম থিমস আপনার ইচ্ছামতো কাস্টমাইজেশন করে সাইটের সৌন্দয্য বাড়াতে পারবেন। কিভাবে ব্লগ ডিজাইন করা যায় যেমন সিএসএস, এইচটিএমল ইত্যাদি কোড বসানোর অপশন ইনেবল করা থাকে সেখানে আপনার প্রয়োজনীয় কোডগুলো বসিয়ে যে কোনো ডিজাইন করে নিতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর থিমস ফ্রিতে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে ওয়েবসাইটে ইন্সটল করা যাবে। প্রিমিয়াম বা কাস্টম থিমসের ক্ষেত্রে মিনিমাম ১০ ডলার থেকে ১০০ ডলারের উপরে পর‌্যন্ত অথবা তারও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেস.কম আপনার যে থিমের অ্যাক্সেস থাকবে তা সংখ্যা নির্ভর করে আপনি যে নির্দিষ্ট ওয়ার্ডপ্রেস.কমের সার্ভিসটি বেছে নেবেন তার উপর নির্ভর করবে, বিনামূল্যে এবং ব্যক্তিগত সার্ভিসে আপনি ১৫০+ ফ্রি থিমস অ্যাক্সেস পাবেন। প্রিমিয়াম, ব্যবসা এবং ইকমার্স সার্ভিসে আপনি ফ্রি থিম এবং আরও ২০০+ প্রিমিয়াম থিমের অ্যাক্সেস পাবেন, থিমগুলি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের মধ্যেই বক্স ডিজাইন প্যাকেজ আকারে দেওয়া থাকবে, আপনি জাস্ট কয়েকটি ক্লিক করে ইনস্টল করতে পারবেন।


ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ : এই মাধ্যমেও সম্পূর্ন ফ্রিতে যে কোনো থিমস ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে পারবেন। WordPress.org এটিকে সহজভাবে বলতে গেলে, ফ্রি এবং প্রিমিয়াম থিমগুলি সহ হাজার হাজার থিমস আপনি পাবেন। আপনি WordPress.org এ অফিসিয়াল সার্ভার থেকে ৮,০০০+ বিনামূল্যে থিম পছন্দ করতে পারেন। তারপরে, আপনি অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে খুঁজে পাওয়া যে কোনও ফ্রি থিম ইনস্টল করতে পারেন – এছাড়াও অন্যান্য মাধ্যমে আরো হাজার হাজার থিমস রয়েছে। সিএসএস, পিইচপি, জাভাক্রিপ্ট ইত্যাদির জ্ঞান থাকলে সাইটকে ডায়নামিক ডিজাইন করতে পারবেন। প্রিমিয়াম থিমস কিনে সেটাপ করলে যে কোনো কোডিং এরর থাকলে থিমস প্রোভাইডার কোম্পানি থেকে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে থাকে।


ব্লগার : ব্লগারে ফ্রি ও প্রিমিয়াম উভয়ই উপায়েই থিমস ইন্সটল করা যায়। ফ্রি থিমসে অনেক প্রকার কোডিং এরর থাকে এবং এগুলো নিজ থেকেই সমাধান করতে হয়। কিন্তু যদি প্রিমিয়াম থিমস কিনে ইন্সটল করা হয় তাহলে যে কোনো প্রকার কোডিং এরর থিমস প্রোভাইডার টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে থাকে। Variable, এইচটিএমএল কোড, সিএসএস কোড ব্যবহার করে সহজে করে থিম ডিজাইন ও পরিবর্তন করা যায়।

নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় থিমস প্রোভাইডারের নাম দেওয়া হলো-
  •  ThemeForest
  •  Studio Press
  •  Elegant Themes
  •  WordPress
  •  WooThemes
  •  Astra
  •  GeneratePress
  •  Thesis
  •  OptimizePress
  •  ThriveThemes



ওয়েবসাইট এসএসএল সার্টিফিকেট :

ওয়ার্ডপ্রেস.কম : এখানে সাবডোমেইনের সাথে ফ্রিতে এসএসএল সাটিফিকেট প্রোভাইড করে থাকে। এটির মেয়াদ কখনো শেষ হবেনা। আর সব সময়ই আপনার সাইটের ইউআরএল থাকবে https কিন্তু যদি প্রিমিয়াম ডোমেইন কিনে এসএসএল সার্টিফিকেট না কিনেন তাহলে আপনার সাইটে সব সময় http থাকবে। http (hyper text transfer protocol) মানে হলো আপনার সাইটটি কোনো প্রকার নিরাপদ নয়, এটি হ্যাকাররা হ্যাক করতে পারে।


ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ : এসএসএল সার্টিফিকেট কিনে সেটাপ করতে হবে। এই মাধ্যমে কোনো ফ্রি এসএসএল সার্টিফিকেট ইন্সটল করার সুযোগ নেই। এটা নির্ভর করবে হোস্টিং প্রোভাইডারের উপর। হোস্টিং প্রোভাইডার একই সাথে এসএসএল সার্টিফিকেটের সুবিধা ‍দিয়ে থাকে। যদি হোস্টিং প্রোভাইডার ফ্রিতে এসএসএল সার্টিফিকেট প্রোভাইড না করে তাহলেও ডোমেইনের ইউআরএল শুরু হবে http দিয়ে।


ব্লগার : এখানে কোনো প্রকার থার্ডপার্টি এসএসএল সার্টিফিকেট ইন্সটল করার সুযোগ নেই। ব্লগার থেকেই সম্পূর্ন ফ্রিতে আজীবন হোস্টিং এবং এসএসএল সার্টিফিকেটের সুবিধা দিয়ে থাকে। আপনাকে শুধু সাইটে এড করে নিতে হবে।

ওয়েবসাইট প্লাগইন :

ওয়ার্ডপ্রেস.ডম : এখানে ফ্রি সার্ভিসে সীমিত সংখ্যক প্লাগইন এড করার সুযোগ দিয়ে থাকে। কিন্তু প্রিমিয়াম সার্ভিসে আপনার ইচ্ছামতো আনলিমিটেড প্লাগইন ইন্সটল করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ব্যবসায় বা ইকমার্স সাইটের জন্য প্লাগইন ইনস্টল করতে পারবেন যা যথাক্রমে আনুমানিক ২৫ ডলার এবং ৪৫ ডলার প্রতি মাসে খরচ হবে। এইভাবে আপনি অসংখ্য প্লাগইন অ্যাক্সেস করতে পারবেন।


ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ : এই মাধ্যমে এসএসএল সার্টিফিকেটের বিষয়টি নির্ভর করে ডোমেইন প্রোভাইডারের উপর। প্রিমিয়াম ডোমেইন সার্ভিসে প্লাগইন ইন্সটল করার সুযোগ থাকে। ইন্সটলের পর কোনো ত্রুটি থাকলে সেখান থেকে আপনি সাহায্যে নিতে পারবেন। আপনি যে কোনও সাইট থেকে নতুন প্লাগইন ইনস্টল করতে পারবেন, আপনি যেখানেই নিজের সাইট হোস্ট করেন বা হোস্টিংয়ের জন্য আপনি যেখানে টাকা খরচ করেন তা কোনো প্রকার সমস্যা হবেনা।


ব্লগার : ব্লগারে কোনো প্রকার প্লাগইন ইন্সটল করার সুযোগ নেই। প্লাগইনের পরিবর্তে ব্লগারে গ্যাজেড এড করে ব্লগারের নির্দিষ্ট সার্ভিস এড করার সুযোগ দেওয়া আছে।



ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন :

ওয়ার্ডপ্রেস.ডম : এর প্রিমিয়াম থিমস নিজের ইচ্ছামতো কাস্টমাইজেশন করা যায়। ফ্রি কোনো প্ল্যানে কাস্টমাইজেশন করা যায় না। এছাড়াও এডিশনাল সিএসএস অপশনটিও ডিজেবল হয়ে থাকে। ওয়ার্ডপ্রেস.ডট কম সম্পর্কে মূল বিবরণটি হ'ল এটি বিভিন্ন পদ্ধতি, ইন্টারফেস এবং সীমাবদ্ধতার জন্য চমৎকার।

ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ : এখানে ওয়ার্ডপ্রেস সাপোর্ট করে এমন যে কোনো থিমস ডাউনলোড করে সাইটে সেটাপ করা যায়। প্রিমিয়াম থিমের ক্ষেত্রে বেশি কিছু পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ফ্রি থিমসের ক্ষেত্রে কোডিং নলেজ না থাকলে থিমসকে কাস্টমাইজেশন করা কস্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। WordPress.org একটি পুরোপুরি ওপেন সোর্স হওয়ার কারণে আপনি নিজের সাইটের ডিজাইন নিজের ইচ্ছামতো করতে পারবেন। থিম ইচ্ছামতো পরিবর্তন করতে পারেন, ওয়েব থেকে নতুন থিম ইনস্টল করতে পারেন, প্লাগইন ইনস্টল ও কনফিগার করতে পারেন,নিজের মধ্যে প্রোগ্রামিং কোড লেখার অভিজ্ঞতা থাকলে সেটিকে সাইটে বাস্তবায়ন করতে পারেন। WordPress.org এর সাহায্যে আপনি আপনার ইচছামতো যা করতে চান তাই করতে পারবেন।


ব্লগার : এই মাধ্যমেও ফ্রি থিমস ও ফ্রি সাবডোমেইন দ্বারা সাইট তৈরী করলে সীমিত সংখ্যক কাস্টমাইজেশন ছাড়া সম্পূর্ন ভাবে ব্লগসাইটকে নিজের মতো বানাতে পারবেন না। কিন্তু যদি টাকা দিয়ে প্রিমিয়াম থিমস ও ডোমেইন কিনে সেটাপ করেন তাহলে নিজের পছন্দ মতো গ্যাজেড এড করে সাইটকে আকর্ষনীয় করে বানাতে পারবেন।


ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স বা মনিটাইজেশন :

ওয়ার্ডপ্রেস.ডম : এই প্লাটফর্মে গুগল এডসেন্স এড করার জন্য আলাদা ভাবে প্লাগইন এড করা লাগে। আবার প্লাগইন এড করার জন্য অনেকগুলো শর্ত পূরন করতে হয়। কেবল শর্তগুলো পূরন হওয়ার পর ‍Site Kit নামের একটি প্লাগইন এড করা যায়। ফ্রি এবং ব্যক্তিগত সাবক্রিপশনের মাধ্যমে মনিটাইজেশন করা যাবে না। আপনি যদি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস.কম সাইট থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান তবে আপনার কমপক্ষে প্রিমিয়াম পরিকল্পনা প্রয়োজন। WordPress.com মনিটাইজেশন ছাড়াও, ওয়ার্ডপ্রেস.কম আপনার নিজের সাইটে তাদের দ্বারা বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে এবং আপনি সেগুলি ডিজেবল বা ডিলিট করতে পারবেন না।


ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ : WordPress.org এ আপনি যেভাবে চান এটি মনিটাইজেশন করতে পারবেন। যাইহোক তারপরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। যেহেতু WordPress.org ওপেন সোর্স সফ্টওয়্যার, আপনি মনিটাইজেশন বা গুগল এডসেন্স পাওয়ার জন্য যে কোনও পদ্ধতি ইন্সটল বা যুক্ত করতে পারবেন। যদিও ওয়ার্ডপ্রেস যেহেতু প্রফেশনাল ছাড়া তৈরী করা যায় না সেহেতু অধিকাংশ ওয়েবসাইট বা ব্লগসাইট তৈরী করা হয় ব্যবসায়িক কাজে, কোনো প্রকল্পের কাজে ইত্যাদি। সাধারণ ভাবে ব্লগিং করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস.কমই সেরা।


ব্লগার : ব্লগার সাইট গুগলের নিজস্ব প্রোডাক্ট হওয়ায় গুগল এডসেন্সের জন্য আলাদা করে কোনো প্লাগইন এড করার প্রয়োজন হয়না। সাইটের মধ্যে ডিফল্টভাবেই এডসেন্স এডের অপশনটি দেওয়া থাকে। তবে গুগলের শর্ত পূরন না করা পর‌্যন্ত অপশনটি ডিজেবল হয়ে থাকে। সকল প্রকার শর্ত সঠিক ভাবে পূরন হয়ে গেলে অটোমেটিকভাবে অপশটি চালু হয়ে যায়। ব্লগারের এডসেন্স অপশনটির নাম Earnings. এই অপশনটি পোস্ট এবং পেজের সাথেই থাকে।




ওয়েবসাইট সেটআপ প্রক্রিয়া :

ওয়ার্ডপ্রেস.ডম : ওয়ার্ডপ্রেস সেট আপ করার জন্য আপনাকে তেমন একটা অভিজ্ঞ বা বুদ্ধিমান হতে হবে না। তবে আমি আপনাকে সাজেস্ট করবো ইন্টারনেট বা ইউটিউব থেকে ব্লগ তৈরির টিউটোরিয়াল দেখে সেটাপ করে নিতে পারেন। এটি একটি অপেক্ষাকৃত সহজ ধাপে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়ামাত্র। ওয়ার্ডপ্রেস.কম দিয়ে শুরু করা যতটা সহজ ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গতে ততটা সহজ নয়। ওয়ার্ডপ্রেস .কম আপনাকে একের পর এক স্টেপ শো করবে, আপনাকে সহজেই উপলব্ধি করার মাধ্যমে আপনার নতুন ওয়েবসাইটটি কনফিগার করতে দিবে। এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই আপনি ব্যবহার শুরু করতে পারেন এমন একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের তৈরী হয়ে যাবে। দুটি প্রচলিত পদ্ধতিতে ওয়ার্ডপ্রেস সাইট সেটাপ করতে পারবেন। প্রথমটি হলো গুগলে গিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস.কম লিখে সার্চ করে get started এ Click করে ফ্রি অথবা পেইড ডোমেইন দ্বারা সাইটের প্রাথমিক অংশ সম্পূর্ন করা। তারপর হোস্টিং কেনা থাকলে সেটিকে এড করে সি প্যানেলে এক্সেস নেওয়া। দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হলো হোস্টিং কিনে সি প্যানেল থেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা। C panel এ ইন্সটল করার পর ডাটাবেজ এবং ইউজার তৈরী করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় সকল প্রকার ডকুমেন্ট গুলোকে ফাইল ম্যানাজারে আপলোড করা। নিচের পদ্ধতিটির সংক্ষিপ্ত রূপ-



Step 1. Choose WordPress as your website platform.

Step 2. Pick a name for your website, buy a domain & hosting.

Step 3: Get familiar with the WordPress UI.

Step 4: Pick a theme / design for your website.

Step 5: Get plugins to extend your website's abilities.

Step 6: Create basic pages.

Step 7: Consider starting a blog.



ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ : এই মাধ্যমে ওয়েবসাইট সেটআপ করা ঠিক তত সহজ কাজ নয়। আপনি WordPress.org প্ল্যাটফর্মটির মধ্য দিয়ে আপনার অ্যাডভেঞ্চার শুরু করতে চাইলে WordPress.org ওয়েবসাইটে সরাসরি না গিয়ে আপনার পছন্দের ওয়েব হোস্টিং কিনে সাইন আপ করে হোস্টিংয়ের মধ্যে ইন্সটল করতে হবে। প্রথমে ডোমেইন হোস্টিং কেনার পর গুগল থেকে ডাউনলোড করে WordPress.org সফটওয়্যারটি আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল করতে হবে। তারপর হোস্টিং প্যানেলের File Manager এ ক্লিক করে public_html এর মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেসটিকে আপলোড করতে হবে। তারপর MySQL Database and User ক্রিয়েট করতে হবে। আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে মনে রাখা ভালো, ডাটাবেজের অপশনটিতে গিয়ে শুধু সেখানের শিরোনাম গুলো অনুযায়ী শুধুমাত্র ডাটাবেজের নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সেভ করলেই ডাটাবেজ তৈরী হয়ে যাবে। এটি কোনো জটিল কাজ নয় এবং এখানে কোনো প্রকার কোডিং বা অন্য কিছু করার দরকার নেই। উপরের নিয়ম গুলো হয়ে গেলে সাইটটিকে কনফিগারেশন করতে হবে। এর জন্য আপনার ডোমেইন নেমটি ব্রাউজারের মধ্যে লিখে এন্টার করার পর ইন্সটলেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এখানে আপনার মনে রাখতে হবে যে, হোস্টিং প্যানেলে যেসব ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড, ইমেইল দিয়ে সেটাপ করেছিলেন সেগুলোই এখানে দিতে হবে। সব গুলো সঠিক হলে এবার Install wordpress এ Click করলেই আপনার সাইটটি রেডি হয়ে যাবে। নিচে সংক্ষিপ্তভাবে ধাপটি দেওয়া হলো।


Step 1: Download WordPress.org in your computer

Step 2: Upload WordPress to Hosting Account.

Step 3: Create MySQL Database and User.

Step 4: Configure wp-config.

Step 5: Run the Installation.

Step 6: Complete the Installation.


আরেকটি গুরুত্বপূর্ন কাজ আপনাকে করতে হবে তা হলো হোস্টিং প্যানেলের ফাইল ম্যানেজার থেকে wp-config-sample.php নামটি রিনেম করে wp-config.php করতে হবে। তারপর এই ফাইলটিকে নোটপেডে ওপেন করে নিচের 'database_name_here' এর স্থানে ইউজার নেম এবং username_here এবং password_here এর স্থানে আপনার কাঙ্খিত নাম ও পাসওয়ার্ড বসিয়ে সেভ করতে হবে। নিচের পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে পারেন।

define('DB_NAME', 'database_name_here');

/** MySQL database username */

define('DB_USER', 'username_here');

/** MySQL database password */

define('DB_PASSWORD', 'password_here');



ব্লগার : ব্লগারে সাইট সেটাপ করা অন্যান্য সকল প্লাটফর্ম থেকে তুলনামূলক অনেক সহজ। আপনার যদি জিমেইল আইডি থাকে তাহলে জিইমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড দ্বারা নিচের পদ্ধতিতে সহজেই সেটাপ করে নিতে পারেন। অনেকের কমন একটি প্রশ্ন ব্লগিং কিভাবে শিখব এর উত্তরে আমি বলবো আপনি প্রথমে গুগল ব্লগারে গিয়ে নিচের পদ্ধতিটি মনোযাগ দিয়ে পড়ে তারপর চেস্টা করুন। এটা হলো ব্লগসাইট তৈরী করার নিয়ম। ব্লগসাইট তৈরী করা হয়ে গেলে নতুন ব্লগারদের ব্লগপোস্ট করার নিয়ম জানতে এখানে ক্লিক করুন।

Step 1 Sign in to Blogger.

Step 2 On the left, click the Down arrow .

Step 3 Click New blog.

Step 4 Enter a name for your blog.

Step 5 Click Next.

Step 6 Choose a blog address or URL.

Step 7 Click Save.




ওয়েবসাইট Support/help available

ওয়ার্ডপ্রেস.কম : ফ্রি সার্ভিসে সাবডোমেইন এর দ্বারা তৈরীকৃত সাইটের যেকোনো প্রকার সমস্যার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কোনো লাইভ সাপোর্ট দেওয়া হয়না। প্রিমিয়াম ডোমেইন ও প্লাগইন এর ক্ষেত্রে লাইভ সাপোর্ট দিয়ে থাকে। ফ্রি প্লাটফর্মের জন্য কোনও ইমেল বা লাইভ চ্যাট সমর্থন করে না। তবে, একটি ওয়ার্ডপ্রেস.কম ফোরাম রয়েছে, যা আপনি কিছু সমস্যা নিয়ে আটকে গেলে সেখানে গিয়ে প্রশ্ন করে সমাধান পেতে পারেন। অথবা আপনার সমস্যাটি ইতিপূর্বে যদি অন্য কারো হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে আর প্রশ্ন করতে হবেনা শুধু সমাধানটি পড়ে নিয়ে সমাধানটি দেখলেই হবে। আর যদি প্রিমিয়াম ব্যাক্তিগত সার্ভিসে সাইন আপ করেন প্রতি মাস ভিত্তিক $৪ ডলার দিয়ে তাহলে সীমাহীন ইমেল সমর্থন পাবেন এবং প্রিমিয়াম এডভান্স সার্ভিসে $১৪ ডলার দিয়ে কিনলে এখান থেকে একটি লাইভ চ্যাট সুবিধা পাবেন।


ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ : WordPress.org এ অফিসিয়াল কোনো মাধ্যমে থেকে বা চ্যানেল থেকে কোনও সমর্থন নেই। যেখানে আপনি সমর্থন পেতে পারেন তা হ'ল আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েব হোস্টিং সরবরাহকারী। বেশিরভাগ ওয়েব হোস্ট 24/7 সমর্থন সরবরাহ করে। আপনি যদি এমন কোনও হোস্ট কিনে সাইট তৈরী করেন আপনি এডভান্স ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টম সহায়তা টিম থেকে সাপোর্ট ও অ্যাক্সেস পাবেন। এছাড়াও আপনি অনলাইন ফোরাম/ডকুমেন্টেশন ব্যবহার করতে পারেন সেখানে অনেক ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীর কাছে সাহায্য চাইতে পারেন। অফিসিয়াল সমর্থনকারী সাপোর্ট চ্যানেলগুলি ছাড়াও, ওয়েবসাইট জুড়ে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কিত বিষয়গুলির জন্য প্রচুর পরামর্শ এবং টিউটোরিয়াল পাবেন।


ব্লগার : ব্লগারে কোনো লাইভ চ্যাট সাপোর্ট সার্ভিস নেই। কিন্তু ব্লগার ফোরাম থেকে প্রশ্ন করে অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে সমাধান পেতে পারেন। এছাড়াও গুগলে হাজারো আর্টিকেল আছে সে গুলো পড়েও সমস্যা সমাধান করে নিতে পারেন।


ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণ Maintenance

ওয়ার্ডপ্রেস.কম: ওয়ার্ডপ্রেস.কমের সাহায্যে আপনি অনেক সুরক্ষা অপশন এবং ব্যাকআপ অপশন পেয়ে থাকবেন। যেগুলো বিল্ট-ইন ভাবেই থাকে। যখনই ওয়ার্ডপ্রেস.কম মনে করবে আপনার সাইটটি আপডেট করা দরকার তখনই তারা আপনার সাইটে নটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে।


ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ : সফ্টওয়্যারটি একটি স্বচ্ছ ও নিরাপদ মাধ্যম, এখানে সকল সোর্স কোডগুলো দেখতে পারবেন, এটি ওয়েবসাইটের আধুনিক সুরক্ষা প্রয়োজনীয়তা এবং মান মেনে চলার জন্য যত্ন সহকারে তৈরী। ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সস্টল বেশ সুরক্ষিত এবং হ্যাকারদের পক্ষে হ্যাক করা খুব সহজ কাজ নয়। আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটটিকে সুরক্ষিত করতে ও আরও উন্নত করতে আপনি একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা প্লাগইন ইনস্টল করতে পারেন, যেমন ওয়ার্ডফেন্স বা সুকুরি। এছাড়া সাইটের সকল প্রকার ব্যাকআপ আপনার নিজেই যত্ন নিতে হবে একটি প্লাগইনের মাধ্যমে। ব্যাকআপ সহজভাবে করার জন্য অনেকগুলি বিকল্প রয়েছে যেমন ব্যাকআপ গার্ড বা আপড্রাফ্টপ্লাস। এক্ষেত্রে যখনই কোনও সফ্টওয়্যার আপডেট করার প্রয়োজন হবে তখন আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ডে একটি আপডেট নটিফিকেশন দেখতে পাবেন। আপনি শুধু একটি ক্লিক করে আপডেটটি সম্পন্ন করতে পারেন।


 ব্লগার : এই প্লাটফর্মে সকল প্রকার সাইট রক্ষনাবেক্ষন গুগল দ্বারাই করা হয়ে থাকে। আপনাকে শুধু তাদের দেওয়া নির্দেশনা গুলো অনুসরণ করলেই হবে।


সবশেষে সিদ্ধান্ত কি নিবেন Blogger নাকি WordPress?

উপরের আলোচনা থেকে সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষন করলে দেখা যায় প্রত্যেকটি মাধ্যমই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সেরা। এখানে ব্লগার সম্পূর্ণ ফ্রি এবং ওয়ার্ডপ্রেস.কম হোস্টিংয়ের জন্য আপনাকে মাসে ৪-৫ ডলার ব্যয় করতে হবে। যেহেতু WordPress ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে অর্থের বিনিময়ে হোস্টিং কিনে ব্যবহার করতে হয় সেহেতু এটিতে ব্লগারের তুলনায় কিছুটা হলেও বাড়তী সুবিধা পাবেন তবে আমার পরামর্শ হবে, আপনি যদি ব্লগিংয়ে নতুন হন কিংবা ব্যক্তিগতভাবে ব্লগিং করতে চান, তাহলে অবশ্যই গুগল ব্লগার বেছে নেয়ার জন্য। অন্যদিকে আপনি যদি ব্যবসায়িক বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কিংবা প্রফেশানাল ব্লগিং করতে চান, তাহলে অবশ্যই কিছু টাকা খরচ করে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ব্লগিং করবেন। আপনার জন্য কোনটি উপযুক্ত সেটা আপনি নিজেই নির্বাচন করতে পারবেন। সেটা সম্পূর্ন নির্ভর করে আপনার টাকা খরচের পরিমাণ কেমন? আপনাদের জন্য আরো কিছু সংক্ষিপ্ত তথ্য নিচে দেওয়া হলো।

ব্লগারের কিছু সুবিধা ও অসুবিধা

  1. ড্রপডাউন পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়না।
  2. নিজের ইচ্ছামতো প্লাগইন ব্যবহার করা যায়না।
  3. এসইও করার জন্য সম্পূর্ন নিজস্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়।
  4. থিমসকে কাস্টমাইজ করতে প্রোগামিং জ্ঞানের প্রয়োজন হয়।
  5. ব্লগারে কোনো প্রকার হোস্টিংয়ের প্রয়োজন হয়না।
  6. ব্লগারে ফ্রিতে এসএসল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
  7. ব্লগারে গুগল এডসেন্স এপ্রোভাল পেতে তুলনামূলক সহজ।
  8. প্রিমিয়াম থিমস ছাড়া মোবাইল ও ডেস্কটপ রেসপনসিভ করা যায় না।
  9. টেবল অব কন্টেন্ট কোডিং জ্ঞান ছাড়া করা যায় না।
  10. ব্লগার থেকে ওয়ার্ডপ্রেসে মাইগ্রেশন বা টান্সফার করা অনেক সহজ।

ওয়ার্ডপ্রেসের কিছু সুবিধা ও অসুবিধা

  1. ওয়ার্ডপ্রেস মন মতো ডিজাইন করা যায়
  2. প্লাগিন সুবিধার কারনে নিজের ইচ্ছা মতো সাইটকে ডেভেলপ করা যায়।
  3. ফ্রি ডোমেইন ও হোস্টিং দ্বারা সাইটকে কাস্টমাইজ করা যায় না।
  4. গুগল এডসেন্স পাওয়া একটু জটিল।
  5. এসইও করার জন্য জনপ্রিয় ও সহজ প্লাগইন ইন্সটল করা যায়।
  6. প্লাগইন দ্বারা সাইটকে রেসপনসিভ করা তুলনামূলক সহজ।
  7. পোস্টে টেবল অব কন্টেন্ট অপশন প্লাগইন দ্বারা এড করা যায়।
  8. ওয়ার্ডপ্রেস সাইটকে ব্লগারে মাইগ্রেশন বা ট্রান্সফার করা অনেক জটিল।

আজ এ পর‌্যন্তই লেখাটি ভালো লাগলে সাবসক্রাইব করে সকলের কাছে শেয়ার করে দিন। এই আর্টিকেলে যদি কোনো প্রকার টাইপিং মিসটেক অথবা ভূল তথ্য পরিলক্ষিত হয় দয়া কমেন্ট করে জানাতে ভূলবেন না। ধন্যবাদ।



লেখক : মামুন সরকার
ব্লগার,ইউটিউবার ও ফ্রিল্যান্সার।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন