ফরেক্স ট্রেডিং

ফরেক্স হচ্ছে টাকা কেনা বেচার বাজার, এই বাজারে মুদ্রা বা কারেন্সী পেয়ার কেনাবেচা হয়ে থাকে। আধুনিক সভ্যতা শুরুর বহু বছর আগে শুধুমাত্র ধনী ব্যক্তিরা এবং কিছু সংখ্যাক ব্যাংক এই ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল যাদের কাজ ছিলো টাকার বিনিময়ে টাকা বা মুদ্রার বিনিময়ে মুদ্রা কেনাবেচা করা। আধুনিক সভ্যতা বিকাশের ফলে  এখন এই মুদ্রা কেনাবেচাটিই ফরেক্স ব্যবসা নামে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে কিছু ফরেক্স ব্রোকার | যাদের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি এই ব্যবসায় সংযুক্ত হতে চায় তাদেরকে বলে ফরেক্স ব্রোকার | ফরেক্স নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম এই পোস্টে ফরেক্স কি? আজজের টপিক যেহেতু ভিন্ন সেহেতু এই বিষয়ের উপর আলোচনা না করে আজকের মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক।


XM ফরেক্স ট্রেডিং। ফরেক্স ট্রেডিং শিখুন।

XM ডেমো ফরেক্স ট্রেডিং কিভাবে শুরু করবেন?

শিরোনাম দেখেই বুঝার কথা মূল টপিক। যে কোনো কিছু শুরু করার জন্য একটি ফাউন্ডেশন বা ভিত্তি থাকা দরকার। ফরেক্স ট্রেডিং শুরু করার জন্যও আপনাকে একটি ফাউন্ডেশন তৈরী করতে হবে। হাজারো প্লাটফর্মের মধ্যে সেরা একটি ফরেক্স ট্রেডিং প্লাটফর্ম হলো XM ব্রোকার বা ট্রেডিং। যাকে বলা হয় পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম একটি ফরেক্স ব্রোকার। ফরেক্স কি? এই নিয়ে বৃহৎ আলোচনা রয়েছে এই এখানে আপনি চাইলে পড়ে নিতে পারেন এবং কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করলে আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। যাইহোক মূল কথায় আসা যাক।


📌 XM ডেমো একাউন্ট দিয়ে শুরু করুন।

ফরেক্স মার্কেটে যারা নতুন আসতে চায় তাদের শিখার জন্য প্রত্যেক ব্রোকার হাউস সম্পূর্ন ফ্রিতে ভার্চুয়াল মানি দ্বারা একটি একাউন্ট খোলে ট্রেডিং করার সুযোগ দিয়ে থাকে। ডেমো একাউন্টে লাভ ক্ষতির কোনো ভ্যালু নেই। ভ্যালু হলো আপনার শিখার বিষয়টি। রিয়েল একাউন্টে টাকা বিনিয়োগ করে প্রফিট ও লস দুটিই আপনার নগদ টাকায় প্রভাব পরবে। ডেমো একাউন্টে লাভ হলেও আপনি টাকা তুলতে পারবেন না। আবার ক্ষতি হলেও আপনাকে টাকা দিতে হবেনা। XM ফরেক্স ট্রেডিং তাদের গ্রাহকদের জন্য সর্বোচ্চ লোন বা লেভারেজের সুবিধা সহ ডেমো একাউন্ট খোলার সুবিধা দিয়ে থাকে। ভিডিও দেখে ডেমো একাউন্ট খোলতে এখানে ক্লিক করুন।


📌 ডেমো একাউন্ট খুলতে প্রয়োজন?

যে কোনো কাজ করার পূর্বে অবশ্যই শিখে নিতে হয়। মাঝিহীন নৌকা যেমন তীরে ভিড়েনা। একইভাবে কাজ না জেনে কোনো কিছু শুরু করেও সফলতার শিখরে পৌছা যায়না। ফরেক্স ট্রেডিংয়ে যারা নতুন আসতে চায় তাদের জানা ও শিখার সুবিধার্থে প্রত্যেক ব্রোকার হাউস ডেমো বা প্রেকটিস একাউন্ট খোলার সুবিধা দিয়ে থাকে। রিয়েল ট্রেডিং শুরুর করার পূর্বে ডেমো একাউন্ট দ্বারা বিভিন্ন কারেন্সি পেয়ার বায়-সেল ট্রেড করে অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। ডেমোতে ট্রেড করে লস হলেও আপনার কোনো সমস্যা হবেনা। আবার প্রফিট হলেও আপনি টাকা তুলতে পারবেননা। এটা শুধু শিখার জন্য করতে পারবেন। যখন সবকিছু সর্ম্পকে ভালোভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলবেন তখনই আপনি রিয়েল একাউন্ট খুলে ফরেক্স ট্রেডিং শুরু করতে পারবেন। XM ফরেক্স ট্রেডিংয়ে কম্পিউটার দিয়ে ডেমো একাউন্ট খোলতে এখানে ক্লিক করুন।


📌 XM ডেমো একাউন্ট খোলার জন্য নিচের কাজ গুলো সম্পাদন করতে হবে।

📧 পাসওয়ার্ড সহ একটি ইমেইল এড্রেস থাকতে হবে। (প্লেস্টোরের ইমেলটি ব্যবহার করতে পারেন )

📧 একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল,ট্যাব বা ল্যাপটপ থাকতে হবে।

📧 জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট থাকতে হবে। (ডেমোতে বাধ্যতামূলক নয়)

📧 প্লেস্টোর বা ওয়েব ব্রাউজার থাকতে হবে।

📧 ইন্টারনেট কানেকশান থাকতে হবে।

📧 Mt4 বা Mt5 অ্যাপসটি Download  করতে হবে।

📧যে কোনো ব্রোকার থেকে একাউন্ট খুলে আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে Mt4 বা Mt5 এ সেটাপ করে নিতে হবে।

📧 সকল ইনফরমেশন সাবমিট করার পর আপনার ইমেইলে একটি মেসেজ যাবে। ইমেইল থেকে সেটিকে কনফারমেশন করলেই একাউন্ট খোলার কাজ শেষ।

📧 সবকিছু হয়ে গেলে লাইভ ফরেক্স ট্রেডিং শুরু করতে পারবেন।

ডেমো একাউান্ট কোনো ব্রোকার ছাড়াও খোলা যায়। এর জন্য প্লেস্টোর থেকে Mt4 বা Mt5 অ্যাপসটি ডাউনলোড করে সেটাপ দিলেই অটোমেটিক একটি ডেমো একাউন্ট তৈরী হয়ে যাবে। আপনি চাইলে সেই একাউন্ট থেকেও ফরেক্স ট্রেডিং প্রেকটিস করতে পারেন।


XM রিয়েল ফরেক্স ট্রেডিং কিভাবে শুরু করবেন?

ফরেক্স থেকে মাসে কত আয় করা সম্ভব এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নাই। কারণ ফরেক্স মার্কেটে এতো টাকা আছে আপনি যদি অভিজ্ঞতা, বুদ্ধি ও বিচক্ষনতার সাথে ট্রেডিং করতে পারেন তাহলে ফরেক্স থেকে মাসে গড়ে কত আয় করা যায় এটিকে বুঝতে হলে কিছুদিনের জন্য ডেমো একাউন্টে প্রেকটিস করে দেখুন। ফরেক্স মার্কেট থেকে আয় কত সহজ তা বুঝতে পারবেন। একই সাথে আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন সেটিও সহজেই বুঝতে পারবেন। Forex সর্ম্পকে যতটুকু বুঝতে পারছি তাহলো এখানে ইনকামের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।


কিভাবে একটি রিয়েল XM ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলতে পারি?

এটা খুবই সহজ আর দ্রুত একটি পদ্ধতি। একটি রিয়েল অ্যাকাউন্ট খুলুন এই অপশনে ক্লিক করুন, ফর্মটি পূরণ করুন এবং সবশেষে লগইন বিস্তারিত সহ আপনি একটি মেইল পাবেন, যার মাধ্যমে আপনি আমাদের নিরাপদ মেম্বারস এরিয়াতে লগইন করতে পারবেন। মেইন মেন্যুতে ডিপোজিট ট্যাবে ক্লিক করে আপনি আপনার একাউন্ট এ ডিপোজিট করতে পারবেন।

ফরেক্সে রিয়েল ট্রেডিং শুরু করার পূর্বে অবশ্যই ডেমো একাউন্টে প্রেকটিস করে তারপর শুরু করা উচিত। ডেমোতে ইচ্ছামতো বায়-সেল করে ক্ষতি হলেও কোনো সমস্যা ছিলোনা। কিন্তু রিয়েল একাউন্টে লস হওয়া মানে একাউন্টের ব্যালেন্স কমে যাওয়া। দু:চিন্তা বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি। যাইহোক প্রাথমিকভাবে কিছু শিখে রিয়েল ট্রেডিং শুরু করার জন্য ডেমো একাউন্টের মতো আরেকটি রিয়েল একাউন্ট খুলতে হবে। ডেমো একাউন্ট খোলার জন্য যা কিছু দরকার ছিলো রিয়েল একাউন্টের ক্ষেত্রেও সেগুলো সহ আরো বাড়তি কিছু প্রয়োজন হবে।


📌 XM রিয়েল একাউন্ট খোলার জন্য নিচের কাজ গুলো সম্পাদন করতে হবে।

📧 পাসওয়ার্ড সহ একটি ইমেইল এড্রেস থাকতে হবে। (প্লেস্টোরের ইমেলটি ব্যবহার করতে পারেন )

📧 একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল,ট্যাব বা ল্যাপটপ থাকতে হবে।

📧একাউন্ট ভ্যারিফাই এর জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মধ্যে ব্রোকার ভেদে যেকোনো একটি বা দুটির প্রয়োজন হতে পারে।

📧 প্লেস্টোর বা ওয়েব ব্রাউজার থাকতে হবে।

📧 ইন্টারনেট কানেকশান থাকতে হবে।

📧 Mt4 বা Mt5 অ্যাপসটি Download  করতে হবে।

📧 একাউন্ট খুলে আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে Mt4 বা Mt5 এ সেটাপ করে নিতে হবে।

📧 একাউন্ট খোলার জন্য এখানে ক্লিক করুন। ক্লিক করার যে পেজটি ওপেন হবে সেখানে নিচের উল্লেখিত অপশন গুলো দেখতে পাবেন। তারপর নিচের তথ্যগুলো পূরন করে সাবমিট করুন। (আপনাদের বুঝার জন্য ডেমো একাউন্টের একটি স্ক্রিনশটের উদাহরণ দিলাম। নিচের তথ্যগুলো ছাড়াও আরো অনেকগুলো তথ্য আপনাকে সাবমিট করতে হবে।)

XM ফরেক্স ট্রেডিং। ফরেক্স ট্রেডিং শিখুন।

📧 সকল ইনফরমেশন সাবমিট করার পর আপনার ইমেইলে একটি মেসেজ যাবে। ইমেইল থেকে সেটিকে কনফারমেশন করলেই একাউন্ট খোলার কাজ শেষ। একাউন্ট নাম্বার ও পাসওয়ার্ড আপনাকে মনে রাখতে হবে Mt4 বা Mt5 অ্যাপসে লগইন করার জন্য।

📧 লোকাল ব্যাংক, মাস্টারকার্ড, ভিসা কার্ড, স্ক্রিল, নেটেলার অথবা ওয়েবমানি যেকোনো একটি পেমেন্ট মেথড থাকতে হবে।

📧 ব্রোকারের ডেসবোর্ডে গিয়ে একাউন্টে ডিপোজিট করতে হবে।

📧 সবকিছু হয়ে গেলে লাইভ ফরেক্স ট্রেডিং শুরু করতে পারবেন।


আরো দেখুন > XM একাউন্ট খুলতে এই ভিডিওটি দেখুন


ফরেক্স ট্রেডিং শুরুর আগে যা জানা উচিত।

💹 কখন বায় অর্ডার করবেন? (BUY ORDER) যখন দেখবেন কারেন্সি পেয়ারের ইনডিকেটর উপরের দিকে উঠে তখন আপনাকে বায় অর্ডার করতে হবে। বায় অর্ডার করার পর ইনডিকেটর উপরের দিকে গেলে প্রফিট হবে। নিচের দিকে নামলে লস হবে। পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকলে লস থাকা অবস্থায় চেস্টা করবেন অর্ডার ক্লোজ না করার।


💹 কখন সেল অর্ডার করবেন? (SELL ORDERযখন দেখবেন কারেন্সি পেয়ারের ইনডিকেটর নিচের দিকে নামে তখন আপনাকে সেল অর্ডার করতে হবে। সেল অর্ডার করার পর সূচক নিচে নামলে প্রফিট হবে। উপরের দিকে উঠলে লস হবে। BUY অর্ডারের মতো অনুরূপ ভাবে যদি পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকে তাহলে প্রফিট না হওয়া পর্যন্ত সেল অর্ডার ক্লোজ করবেন না।


💹 স্টপ লস কি? (SL) মার্কেট এনালাইসিস করার পর নিশ্চিত হয়ে যখন কোনো অর্ডার প্লেস করা হয় এবং মার্কেট বিপরীত দিকে মুভমেন্ট করে যদি অতিরিক্ত কোনো লসের সম্ভাবনা থাকে তাহলে সেই পজিশন পর্যন্ত ইনডিকেটর নেমে আসলে অটোমেটিক ক্লোজ হয়ে যাবে। এতে করে অতিরিক্ত লসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। যেমন সেল অর্ডারের ক্ষেত্রে উদাহরণ স্বরূপ, বর্তমান প্রাইস যদি ১.২৩৯০ হয় এবং আপনি স্টপ লস ঠিক করলেন ১.২৪৫০ তাহলে ইনডিকেটর উপরের দিকে উঠে ১.২৪৫০ টার্চ করলে অর্ডারটি অটোমেটিক ক্লোজ হয়ে যাবে। এতে করে আপনার ৬০ পিপসের মতো লস হবে। কিন্তু যদি ১.২৪৫০ থেকে নিচে নেমে ১.২৩৫০ হয় তাহলে আপনার ১০০ পিপসের মতো প্রফিট হবে।


💹 টেক প্রফিট কি? (TP) কারেন্সি পেয়ারে এনালাইসিস করার পর নির্দিষ্ট একটি পজিশন পর্যন্ত যতটুকু লাভ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেখানে হিট করার পর লাভ সহ যে অর্ডার অটোমেটিক ক্লোজ হয়ে যায় তাই হলো টেক প্রফিট। এটি করার সুবিধা হলো আপনি যখন অর্ডার করার পর অফলাইনে থাকবেন তখন আপনার নিজ থেকে ক্লোজ করতে হবেনা। সেটি অটোমেটিক ক্লোজ হয়ে যাবে। টেক প্রফিট সেটাপ না করলে নির্দিষ্ট পজিশন হিট করে যদি নিচের দিকে মুভ করে তাহলে সেটা আবার লসের দিকে চলে যাবে। উদাহরণ স্বরূপ মনে করুন কারেন্সি পেয়ারের বর্তমান প্রাইস ১.৭১০ আপনার টার্গেট পিপস হচ্ছে ৬০ আপনি যদি বায় অর্ডার করেন তাহলে মার্কেট ‍যদি উপরে গিয়ে ১.৭৭০ টার্চ করে তাহলে অর্ডারটি প্রফিট সহ অটোমেটিক ক্লোজ হয়ে যাবে। ঠিক একই ভাবে সেল অর্ডারের ক্ষেত্রেও যদি মার্কেট নিচের দিকে যায় তাহলেও আপনার সমপরিমাণ টাকা প্রফিট হবে। সেল অর্ডার করে মার্কেট উপরের দিকে গেলে আপনার সমপরিমাণ টাকা লস হবে।


💹 পিপ কি? (Pip) Percentage in point এর বাংলা অর্থ হলো পিপ, "শতাংশে পয়েন্ট" বা "মূল্য পয়েন্ট" এর জন্য সংক্ষিপ্ত সিম্বল, ফরেক্স বাজারে একটি কারেন্সি পেয়ার পরিবর্তনের একটি ক্ষুদ্র পরিমাপকে উপস্থাপন করে। USD currency pair জন্য $0.01 এক Pip যার মূল্য 0.10 ডলার সুতরাং ১০ পিপসে ১ ডলার। এটা শুধু ইউএসডি ডলারের পিপস। অন্যান্য ডলারের ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকতে পারে। আপনি যদি ০.০১ পিপস বিবেচনায় অর্ডার করেন তাহলে প্রতি ১০ পিপস উপরে উঠলে লাভ হবে ১ ডলার নিচে নামলেও সমপরিমাণ ক্ষতি হবে। লক্ষ করুন প্রত্যেকটি কারেন্সি পেয়ার ১.৩৯০০/২.৯৪০৬/১.৮৮৭৬ এরকম হয়ে থাকে। মার্কেট যখন উঠা নামা করে তখন শেষের একটি সংখ্যা মাত্র পরিবর্তন হয়।


💹 BUY LIMIT কারেন্ট মার্কেট প্রাইস থেকে নিচে বায় অর্ডার করাকে বায় লিমিট বলে।ফান্ডামেন্টাল,টেকনিকেল এনালাইসিস করার পর ভবিষৎ অবস্থার বিবেচনায় অগ্রিম যে অর্ডার সাবমিট করে রাখা হয় তাকে বলে পেন্ডিং অর্ডার। মনে করুন আজকে ইউএসডি কারেন্সি পেয়ারের দাম ১.১৮০০ আপনি এনালাইসিস করে দেখলেন আগামী একসপ্তাহ পরে ১০০ পিপস দাম বাড়বে। অগ্রীম ১০০ পিপস প্রফিটের সম্ভাবনা থাকায় আপনি আজকেই অর্ডার সাবমিট করে রাখলেন, যখন ১০০ পিপস বেড়ে ১.১৯০০ হবে তখন অটোমেটিক অর্ডার শুরু হয়ে যাবে। সেটাকেই বলে বায় লিমিট।


💹 SELL LIMIT কারেন্ট মার্কেট থেকে উপরে সেল অর্ডার করাকে সেল লিমিট বলে।

সেল লিমিট হচ্ছে বর্তমান প্রাইস থেকে যদি ইনডিকেটর নিচের দিকে যায় এবং অগ্রিম অর্ডার হিসেবে পেন্ডিং অর্ডার সাবমিট করা হয় তাকে সেল লিমিট বলে। ইনডিকেটর নিচে যাওয়ার পর টার্গেট পজিশনে গিয়ে টাচ করা মাত্রই অটোমেটিক সেল অর্ডার শুরু হয়ে যাবে। উদাহরণ স্বরুপ মনে করুন কারেন্ট প্রাইস হলো ১.১৮০২৪ আপনি চাচ্ছেন ১০০ পিপস নিচের যাওয়ার পর সেল অর্ডার করলে আপনার লাভ হবে তখন আপনি বর্তমান প্রাইস থেকে নিচের সাপোর্ট লেভেল পর্যন্ত ১০০ পিপস যোগ করে ১.১৮১২৪ পর্যন্ত সেল লিমিট করে দিলেন। ইনডিকেটর ১০০ পিপস নিচে গিয়ে টার্গেট লেভেলে যাওয়ার পর অটোমেটিক সেল অর্ডার শুরু হয়ে যাবে।


💹 BUY STOP কারেন্ট মার্কেট প্রাইস থেকে রেসিটেন্স লেভেলকে টার্গেট করে বায় অর্ডার করাকে বায় স্টপ বলে।

রেসিটেন্স লেভেল ব্রেক করে উপরে যাওয়া শুরু হলে বায় স্টপ অর্ডার করা হয়। কারেন্ট মার্কেট প্রাইস থেকে ইনডিকেটর উপরে উঠলে অটোমেটিক বায় স্টপ অর্ডার শুরু হয়ে যাবে। বায় স্টপ কখনোই বর্তমান প্রাইস থেকে নিচে ওপেন করা যাবেনা।


💹 SELL STOP  কারেন্ট মার্কেট প্রাইস থেকে সাপোর্ট লেভেলকে টার্গেট করে সেল অর্ডার করাকে সেল স্টপ বলে।

কারেন্ট মার্কেট থেকে নিচে সেল অর্ডার করার জন্য সেল স্টপ পেন্ডিং অর্ডার করা হয়। এটি মূলত টাইম ফ্রেমের সর্বনিম্ন সাপোর্ট লেভেল যেখানে থাকে সেখান থেকেই সেল স্টপ অর্ডার করা হয়। মূলত সাপোর্ট লেভেলকে টার্গেট করে পেন্ডিং অর্ডার করা হয়। সেল স্টপ কখনোই বর্তমান প্রাইস থেকে উপরে ওপেন করা যাবেনা।


💹SUPPORT LAVEL সাপোর্ট লেভেল হলো কোনো একটি টাইম ফ্রেমের সর্বনিম্ন Down ক্যান্ডেল। অর্থ্যাৎ এটিকে একটি নির্ভরযোগ্য পজিশন মনে করা হয়। ফরেক্স মার্কেটের বিভিন্ন অভিজ্ঞ ট্রেডারদের মতামত ও বিভিন্ন ইনডিকেটরের মাধ্যমে ধারনা করা হয় যে সর্বনিম্ন সাপোর্ট লেভেলে আসার পর আর নিচে নামার সম্ভাবনা নেই। যদিও সব এনালাইসিস শত ভাগ কার্যকর হয়না। তবে অধিকাংশ ট্রেডার ও ইনডিকেটর দ্বারা এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে কার্যকর ফলাফল পেয়েছে।


💹RESISTANT LAVEL রেসিস্টেন্ট লেভেল বলতে আপট্রেন্ডের শীর্ষ স্থানকে বুঝায়। অর্থাৎ যে কোনো একটি টাইম ফ্রেমের ভিতর যতগুলো শীর্ষ ক্যান্ডেল আছে সেগুলোকেই বলে রেসিস্টেন্ট লেভেল। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় মনে করুন একদিনের টাইমফ্রেমে কারেন্সি পেয়ারের বর্তমান মূল্যে ১.১৯০০। এই প্রাইসটি সকাল ৮টায় ৫০ পিপস বেড়ে হলো ১.১৯৫০ দুপুর ৪ টায় আরো ২০ পিপস বেড়ে দাড়ালো ১.১৯৭০ রাত ৯টায় আরো ৫০ পিপস বেড়ে প্রাইস হলো ১.২০২০ এবার লক্ষ করুন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোট তিনটি সর্বোচ্চ প্রাইস লেভেল টাচ করেছে। ১.১৯৫০/১.১৯৭০/১.২০২০ উল্লেখিত তিনটি প্রাইসের মধ্যে থেকে আপট্রেন্ড্রের সর্বোচ্চ প্রাইসটিকেই রেসিস্টেন্ট লেভেল হিসেবে বিবেচনা করা যায়। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১.২০২০ পর্যন্ত প্রাইস যাওয়ার পর সেটা নিচের দিকে ব্রেকডাউন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক ক্ষেত্রে তার বিপরীতও হতে পারে। তবে অভিজ্ঞ ফরেক্স ট্রেডার এর মতামত ও  বিভিন্ন ইনডিকেটর এনালাইসিস করে রেসিস্টেন্ট লেভেল এর কার্যকারিতা সকলের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে। RESISTANT LAVEL কয়েকটি কাজে ব্যবহার করা যায়। বায় অর্ডার ক্লোজিং করার ক্ষেত্রে, সেল পেন্ডিং অর্ডারের ক্ষেত্রে, অথবা নতুন বায় অর্ডারের ক্ষেত্রেও রেসিস্টেন্ট লেভেলকে কাজে লাগানো যায়।


💹 TIME FRAME (টাইম ফ্রেম) ফরেক্সে টাইমফ্রেম একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। টাইমফ্রেম হলো নির্দিষ্ট একটি সময়ের কারেন্সি পেয়ারের দাম উঠানামার চার্ট। ফরেক্স মার্কেটে টাইমফ্রেম গুলো 1M/5M/15M/30M/1H/4H/1D/1W/1M সহ ব্রোকার ভেদে আরো অনেক টাইমফ্রেম হয়ে থাকে। বিভিন্ন ট্রেডার তাদের পছন্দমতো টাইমফ্রেম ব্যবহার করে বায় অর্ডার ও সেল অর্ডার করে থাকে। ১মিনিট থেকে ৩০ মিনিটের টাইম গুলো মূলত স্কালপিং ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘ সময়ের ট্রেডিংয়ের জন্য ১ ঘন্টা থেকে ১মাসের টাইমফ্রেম গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।টাইমফ্রেম যতসংক্ষিপ্ত হবে ততবেশি দ্রুত ইনডিকেটর উঠানামা করবে। লং টাইমফ্রেমের ইনডিকেটর গুলো উঠানামা অনেক স্লো হয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে লং টাইমফ্রেমের স্লো উঠানামাকে মার্কেটের গতিবিধি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।


💹 স্প্রেড কি? এবং কেন? প্রত্যেকটা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের একটা ইনকাম সোর্স থাকে। ফরেক্স যারা ট্রেড করে তাদের কাছ ব্রোরকা হাউস নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন নিয়ে যে বায় অর্ডার বা সেল অর্ডার করার সুযোগ দেয় তাকেই বলে স্প্রেড। কোনো কারেন্সি পেয়ারের যখন কেউ অর্ডার সাবমিট করে তখন লক্ষ করে দেখবেন অর্ডার করার সাথে সাথেই লস দেখাচ্ছে। আপনার কাছে মনে হবে এইমাত্র অর্ডার করলাম এতো টাকা লস হওয়ার কারন কি? কারন মুলত এটাই ব্রোকার হাউস তাদের কাঙ্খিত কমিশন কেটে তারপর প্রাইসটাকে শো করে। উদাহরণ স্বরূপ মনে করুন ইউএসডি-জিবিপি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যে বর্তমানে ১.৪৬৫৮ এই পজিশন থেকে যখন বায় বা সেল অর্ডার করবেন তখন ব্রোকার -২০ থেকে আপনার অর্ডারটি চালু করবে। অর্ডার চালু হওয়ার পর যদি লাভ হয় তাহলে মাইনাস চিহ্নটি উঠে যাবে। আর যদি লস হয় তাহলে স্প্রেডসহ লসের পরিমাণ আরো বাড়বে।

XM ফরেক্স ট্রেডিং সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। আপনার মনের সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।


আরো পড়ুন> ফরেক্স কি? ফরেক্স থেকে ইনকাম কিভাবে?


লেখক “মামুন সরকার”

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন