সূরার নাম : আন-নাস
সূরার অর্থ : মানবজাতি
সূরা : ১১৪
পারা : ৩০
প্রথম আয়াত : ৬২৩০১
সিজদার আয়াত : ১
সূরার ধরন : মাক্কী সূরা
নাজিল অনুসারেব : ২১
আয়াত সংখ্যা : ৬
রুকু : ১
কুল আ’ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ। ( বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার
মালিকিন্না-ছ। ( মানুষের অধিপতির)
ইলা-হিন্না-ছ। (মানুষের মা’বুদের)
মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্নাছ ( তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রনা দেয় ও আত্বগোপন করে)
আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ ( যে কুমন্ত্রনা দেয় মানুষের অন্তরে)
মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ ( জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে) ।
সূচনা : সূরা আন-নাস মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১৪ নম্বর এবং সর্বশেষ সূরা; এর আয়াত, অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৬ এবং রুকু, তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১ । সূরা আন-নাস মদীনায় অবতীর্ন হয়েছে; যদিও কোনো কোনো বর্ণনায় একে মক্কায় অবতীর্ণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এর জন্য ছয় আয়াতে শয়তানের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষার জন্য সংক্ষেপে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা হয়।
এই সূরাটি এবং এর পূর্ববর্তী সূরা আল-ফালাককে একত্রে মু’আওবিযাতাইন ( আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু’টি সূরা) নামে উল্লেখ করা হয়। উদ্বৃতি ত্রুটি : শুরুর ট্যাগ সঠিক নয় বা ভুল নামে রয়েছে অসুস্থ অবস্থায় বা ঘুমের আগে এই সূরাটি পড়া একটি ঐতিহ্যগত সুন্নত।
নামকরণ : সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস আলাদা আলাদা সূরা হলেও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এত গভীর ও উভয়ের বিষয়বস্তু পরস্পরের সাথে এত বেশি নিকট সম্পর্কিত যে এদেরকে একত্রে মুআওবিযাতাইন ( আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার দু’টি সূরা) নামে ডাকা হয়; আর এই সূরা দু’টি নাযিলও হয়েছে একই সাথে একই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে।
শানে নুযুল : সূরা ফালাক ও পরবর্তী সূরা আন নাস একই সাথে েএকই ঘটনায় অবতীর্ণ হয়েছে। মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে, জনৈক ইহুদি রসুলুল্লাহ (সা:) এর উপর জাদু করেছিলো। ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জিবরাঈল আগমন করে সংবাদ দিলেন যে, জনৈক ইহুদি জাদু করেছে এবং যে জিনিস জাদু করা হয়েছে, তা অমুক কুপের মধ্যে আছে।---------------